মাটি বিশাল মৃত্যুর কাছে আমি খুব ক্ষুদ্র, তবু দ্বিধাহীনভাবে বসে আছি হাঁটু গেড়ে… জানি না আমাকে দেখে কেন হাসে চন্দ্র -সূর্য -ম্রিয়মান তারা? দয়াল আমার কি দোষ! আমারও তো ওদের মত কেউ নেই তুমি ছাড়া, দয়াল আমায় সাথে রেখো; মনে করো আমি বাস্তুহারা। আমার শব্দ ফুটে ভাত গলে যায়; ধরতে গেলে হাত পুড়ে যায়। ভাতের […]
অভিশপ্ত আমার প্রত্যেকটি নিঃশ্বাসের শিরদাড়া বেয়ে বয়ে গেছে আগুনের শিখা… এ আগুনে আমি বহুবার পুড়েছি, কিন্ত কখনো মরিনি। কোনদিনও মৃত্যু এসে আমাকে মুক্তি দেয় না… প্রতিবারই মৃত্যকে আমি জিজ্ঞাসা করি,মুক্তি এনেছো? মৃত্যু বলে,তোমাকে ছু’বো না ! মৃত্যু বার বার এ কথা বলে, বার বার আমি মৃত্যুর চেহারা দেখি – এই মেয়েটি যে মৃত্যু তা তো […]
সূর্য তোমরা কেউ আমার সমাধিতে ফুল দিতে আসবে শুধু এই প্রত্যাশায় আমি রোজ ফিরে আসি তোমাদের কবিতায় । যদিও আমার শরীর মাটি খেয়ে নিয়েছে … আসলে বীভৎস শব্দগুলো সাজাতে নিজেই ভয় পাচ্ছি । তাই ‘ভদ্রলোকের’ ভাষায় বলছি ! এই শরীরেই পূর্বে চন্দন কাঠ জ্বলেছে , আগুনকে তোয়াক্কা না করেই ধোঁয়া গিয়েছে সূর্য ছু’তে । যেতে […]
পরিচয় বাচ্চাটিকে আমি অনাথ আশ্রমে রেখে আসবো । কিন্ত সে আশ্রম চায় না,তার চাই বাবা-মা । আমি বললাম – বাবা মা থাকেন বৃদ্ধাশ্রমে,তাও বড়লোকের ! বাচ্চাটি ওর মায়ের মতই, সব সময়ই নির্বিকার । ওর মা তো মৃত্যুতেও নির্বিকার ছিলো । অবশ্য ক্ষত বিক্ষত মনে মাত্র আঠারোয় মৃত্যুটা স্বাভাবিকই । আঠারো বসন্ত পেরোলেও জরাজীর্ণ ফুলের ভাজে […]
সারমর্ম তোমার অনির্বান চোখে একটা তারা খসার দৃশ্য ধরে রাখো। মেঘ করে চলে গেছে যেসব শ্রাবন, তাদের আর দেখবে না । অবশেষে যদি নদী নামে ঐ চোখে সাহস রেখো মন মাঝি… এবার আমার হাতেই দিও দাঁড় । কথা দিলাম – ভূমিকা কিংবা উপসংহারে নয় তোমার চোখে রোদ-মেঘ-বৃষ্টি এঁকে থেকে যাবো সারমর্মে । সূর্য উঠলেই সাতটি […]