এই কবিতার সব চরিত্র কাল্পনিক।
আব্রুহীন শব্দগুলো কালপুরুষের
কণ্ঠস্বরের ভয়ে বিদ্রোহী সুর তুলবে না আর….
পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসে নর্দমায় পড়ে থাকা
নবজাতকের ঘুম ভেঙ্গে যায়,
অথচ তাকে ঘরে তুলে আনলেই
পাপ জমে যায় প্রতিটি কবিতায় …
নিস্তব্ধ ভ্রুণ মা মা বলে ডাকলেও
বিবেকের নাড়ি কাটা মন নিরুত্তর।
অপূর্ব অনুভবের ছোট্ট পায়ের লাথি
এখন আমার অনুভবে,
আমার নতুন গল্পে,
আমার অভিজাত কবিতায়
সজোরে আঘাত করে ।
তাই বলছি শোনো-
এই কবিতার সব চরিত্র কাল্পনিক ।
ভালোবাসার নামে বিশ্বাসের চড়া দামে
সেই কবে কোনদিন একটা গল্প বুনেছি ,
সেই গল্পের পরশ পাথরে হাত দিতেই
আমি নিহত ফুলের ক্রন্দন শুনেছি …
অনেক ভয় পেয়েছি !
তাই বলছি-
আমার কবিতার সব চরিত্র কাল্পনিক !
নদীর বুক চিঁড়ে ফেলেছি চাঁদ দেখবো বলে ।
কিন্ত নদী বলল,
চাঁদ উঠে ডাস্টবিনে,
ফুল ঝরে নর্দমায়,
অবশিষ্ট সবই থাকে তোমার কবিতায় ।
এই কবিতার সব চরিত্র কাল্পনিক নয়,
এই কবিতার সব চরিত্র রক্ত মাংসের মানুষ !
আমিও রক্ত মাংসের মানুষ ।
তাই মনুষ্যত্ব বেচে খাই ।
ধ্রুব সত্যের খোলস পুড়িয়ে
আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাই ।
আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ো না ।
ঘুম ভাঙ্গলেই মৃতদেহ থেকে আমার
আত্নার মুক্তি মেলবে ।
মুক্তিতে আমার বড় ভয় !

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*