জুলভার্নের গল্প পড়ে,
পাড়ি দেওয়া যায় স্বর্গ-মর্ত-পাতালে;
তাই বাস্তবে যা সম্ভব নয়,
জুলভার্নের কল্পনাতে তা মিলে।
কিন্তু আমাদের এই নীল গ্রহে,
অনেক অদ্ভুত জীব বিরাজমান;
তারা বাঁকা পথে চলে,
বলা হয় ভূগর্ভের শয়তান।
গণিতে এরা ভীষণ পারদর্শী!
কাপুরুষোচিত কাজ, তবু দেখায় বীরত্ব;
কাকে কোথায় ফেলতে হবে!
তার ছক কষতে সদাই ব্যস্ত।
এমন শয়তানরা এই গ্রহে,
ছিল কেবল মোদের কল্পনাতে;
এখন সামনে দেখি চোখ ঘষে,
ওরেব্বাবা! এল দেখি মোদের তক্তে।
এখন কি করি উপায়!
বিপ্লব করব? নেতা কোথায়?
নেতা তো দেশ ত্যাগ করেছে,
সন্ন্যাস গ্রহণের এই কি সময়?
তাই মোদের রুদ্ধশ্বাসে থাকা,
পরে কি ঘটে তার প্রতীক্ষা করা;
গলা শুকিয়ে তো কাঠ!
এমনি ভয়ে কি যাব মারা?
তার উপর আবার বাড়তি যেটা,
শয়তানদের সঙ্গে ভাগ্য মেলানো;
বিশ্ববাসী মুখ ফিরিয়েছে তাই,
দায় হয়েছে মোদের জীবন বাঁচানো ।
এখন মোদের উপর চোখ পাকিয়ে,
শয়তানরা শুরু করেছে রাম রাজত্ব;
পান থেকে চুন খসলেই,
চোখ পাকিয়ে অস্ত্র উঁচিয়ে দেখাই ঔদ্ধত্য।
———————-
কবি পরিচিতি: আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*