প্রশ্নটা বারবার খুঁচা দিচ্ছে বুকের পাঁজরে,
জানি উত্তরও পাবো না,
কেও দিতেও পারবে না।
প্রশ্ন গুলো আঘাত করে জানতে চাই উত্তর,
প্রশ্নটা জটিল নয় একদম সাদামাটা গোছানো,
তবুও উত্তরটা কেন কেও দিতে পারে না?
কাওকে জিঙ্গেস করলে বলে জানা নেই,
ও বলতে ভুলেই তো গেছি প্রশ্নটা কি?
আর বলেই বা কি হবে?
উত্তর কি কারো জানা আছে।
হ্যাঁ আমি বেশি দূর যাবো না,
এ সমাজের কথাই বলছি।
যে সমাজে আমরা আছি।
যে সমাজ আমাদের ভালো মন্দ,
সবটাতে নিবির ভাবে জড়িয়ে।
তার কথাই বলি।
সত্যি করে কেও কি বলতে পারেন?
কতটুকু কাজে লাগে আমাদের এ সমাজ?
কতখানি করে উপকার?
জানি ওই ভাবে কেও বলতে পারবেন না।
তবে ভালো কাজে থাকুক আর না থকুক সমাজ,
আমাদের মন্দকাজে কিন্তু তার দারুন উৎসাহ।
কোথাও কোন মন্দ কাজ দেখলে,
তাকেই আগে সবথেকে পাশে পাওয়া যায় ।
এটা কিন্তু খুবই আশার।
কেননা মন্দ কাজ যতটুকু না হয়,
তার থেকে বেশি হয় —
সেই মন্দ কাজ নিয়ে চর্চা।
এটাই সবচেয়ে বড়।
আর এই কাজটাই সমাজ খুবই গর্বের সাথে করে।
সমাজ বুঝিয়ে দেয়,
দেখো আমরা কত শৃঙ্খল,
নিয়ম নীতি নিষ্ঠার সাথে পালন করি,
কোথাও কোন অমঙ্গল হতে দিই না।
সত্যিই সমাজ কোথাও কোন অমঙ্গল হতে দেয় না।তাইতো মাঝে মাঝে,
বুকের পাঁজরে নাড়া দিয়ে জিঙ্গেস করে,
একটি প্রশ্ন এ কেমন সমাজ?
আমিও পাইনা খুঁজে সঠিক কোন উত্তর।
একটু নজর দিয়ে যদি খেয়াল করি,
দেখতে পাবো সমাজের প্রতিটা কোনায়,
কিভাবে অবহলিত প্রতিটা মানুষ,
আমি আপনি সকলেই।
তবুও জানা নেই কারো এর কোন উত্তর।
যেন এটাই নিয়ম।
আর আমরা সকলে নিয়মের গোলাম।
যেখানে প্রতিনিয়ত গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে,
সকলের মানবিক অধিকার।
আর এসব করছে কে?
ঐ যে, সবার উপকার করে যে, সে সমাজ।
তাইতো জিঙ্গাসা সবার কাছে,
এ কেমন সমাজ?
কবি পরিচিতি:অদিতি প্রামানিক।এম,এস,সি মাষ্টার্স ইডেন মহিলা কলেজ ঢাকা।পিতা অখিল প্রামানিক।মাতা কল্পনা প্রামানিক।স্হায়ী ঠিকানা বাটিকাডাঙ্গা, মাগুরা জেলায়।এক কন্যার জননী। পেশায় গৃহিনী স্বামীর নাম তরুন বৈদ্য।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*