জীবনের একটি অধ্যায়,থাকবে অপ্রকাশিত কবিতার মত;
জীবনের একটি অধ্যায়,রবে চিন্তার কালো কাফনে ঢাকা।
জীবনের একটি অধ্যায়,ভেজা রক্তে চোখ মোছা,
জীবনের একটি অধ্যায়, কখনো যাবে না বলা।
জীবনের একটি অধ্যায়, চাকরিবাস্তবতার কাফনে ঢাকা।
জীবনের একটি অধ্যায়, যেন বেদনার প্রশান্ত মহাসাগর।
জীবনের একটি অধ্যায়,যার উৎস ধারা অনন্ত সাগর,
জীবনের একটি অধ্যায়,কোনদিনই বুক চিড়ে যাবে না বলা।
জীবনের একটি অধ্যায়, মনের খাঁচায়সহস্র বছর বন্দী হয়ে থাকা,
যার আর্তচিৎকার,গুনগুনানি শব্দ কেউ কোনদিন জানবে না শুনবে না।
জীবনের একটি অধ্যায়, শুধু প্রভুর কাছে বিচার দিয়ে রাখা,
জীবনের একটি অধ্যায়,ভালোবাসার রঙ্গিন কাপড়ে ছবি আঁকা।
জীবনের একটি অধ্যায়,অন্তর্দহন,অন্তরজ্বালা,
ফেসবুকে লাইক,কমেন্ট,শেয়ার হতে, একশ হাত দূরে থাকা।
জীবনের কিছু অধ্যায়, শুধুই প্রভুর কাছে বলা।
জীবনের কিছু অধ্যায়, হয়ে উঠতে পারতো নজরুলের
বিদ্রোহী কবিতার মত দাউ দাউ করে জ্বলা।
অথচ তা নিভে যাচ্ছে, প্রকাশ পাচ্ছে জীবনানন্দ দাশের
কবিতার চিত্রকল্প হয়ে, কিংবা শিল্পাচার্যের মৃত্যুক্ষুধার
বুভুক্ষু চিত্র হয়ে।
যেখানে ভালোলাগা আর ভালোবাসা বড় বেশি অবহেলিত
যেন চুপটি মেরে থাকা,করোনা রোগীর মতো দূর থেকে দেখা।
জীবনের কিছু বিষয়,বিদ্রোহী হয়ে ঝরার কথা,
অথচ তা হুরমুড়িয়ে কাঁদে,আর ভেজা চোখ মোছা।
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°[÷<÷<}
কবি পরিচিতি
মুহাম্মদ আরীফুর রহমান ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন থানাধীন দেউলা ইউনিয়নের অন্তর্গত জমির আখন বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।পরবর্তীতে পিতার চাকুরীর সুবাদে (অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক,শাহবাজপুর মহাবিদ্যালয়) লালমোহন চলে আসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪-০৫ সেশনে ইংরেজিতে অনার্স -মাস্টার্স করেন।বর্তমানে তিনি দেশের শরীয়াহ বেসড শীর্ষস্হানীয় একটি ব্যাংকে চাকুরীরত। পাঁচ ভাই, দু বোনের মধ্যে তার অবস্থান ষষ্ঠ। পাঁচ ভাই সবাই চাকুরীজীবি। তিনি লালমোহন কলেজিয়ট প্রাইমারী স্কুলের প্রথম বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র।স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় “বুশের মাথা গরম হয়েছে ” শিরোনামে কবিতায় আত্মপ্রকাশ, যার জন্য হন প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত।বর্তমানে তার বেশ কয়েকটি যৌথ কাব্য প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যর্থ স্বপ্ন, কাব্যকুঞ্জ, জীবনের স্মৃতিময় কবিতা,তারাদের হাতছানি প্রভৃতি। কয়েকটি যৌথকাব্যের কাজ চলছে। তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।