বুড়ির কাছে সোহাগ করে
বললো বুড়ো হেসে।
অনেক তো হলো দ্বায়িত্ব পালন,
বেলা ওই যে শেষে।
বাচিনা এখন বাকিটা জীবন
দুজন মিলেমিশে
ও বুড়ি আয়,একটু বলনা
প্রেমের কথা হেসে।
সময় কালে ভাবার তখন
সুযোগ জোটেনিরে,
এখন কেনো বলব নারে
ভালোবাসি তোরে,
আয়ে-রে সবি পুশিয়ে নেবো
মনের মতো করে।
বাকি যত কথা আছে
বলবো আজি তোরে।
বুড়ি বলে ভিমরতি তোর
হলো বয়স কালে,
ঘরে আছে বৌমা মোদের
সাথে জোয়ান ছেলে ।
শুনলে পরে পতিবেশি
বলবে তারা কি?
বুড়ো বয়েসে জাগলো বুঝি
হ্যাংলা পিরিত কি?
নস্ট বুঝি হলো বুড়ো
শেষ সময় কালে,
যৌবনেতে নিলিনা খোঁজ
এলি বেলা গেলে।
বুড়ো বলে, বয়সটারে
প্রেম নাতো মানে।
জাগছে পিরিত গহীন বনে
অগচরে মনে।
ভুলে করে না বলেছি আজি
ভালো বাসি তোরে।
বলুক নাছাই প্রতিবেশী
বলতে ওদের দেরে।
আমার ওতে বয়েই গেলো
তাতে আমার কি?
আমি তোকে ভালোবেসে
সঙ্গী করেছি।
সময় কালে হয়েনি বলা
দ্বায়ত্ব ভারের তালে।
বুকের মাঝে রেখেও তোকে
দেখতে পেলাম নারে।
এখন আমি মুক্ত সবি
কিছুই করার নেই।
তাই বুঝি আজ দুই চোখেতে
পরলি ধরা তুই।
দাঁত পরেছে চুল ঝরেছে
বাকিটা সব পাকা,
বুড়োর কথায় বুড়ি হাসে
দাঁতের মাঝে ফাঁকা।
ফোকলা মুখে মৃদু হেসে
বলে কাছে টেনে,
যৌবনতো আর পাবনারে
এই ভাটির টানে।
মরবো দুজন একি সময়
কথা দিলাম তোরে,
ওপাড়েতে যাবি যখন
সঙ্গে পাবি মোরে।
বুড়ো হেসে কইলো তখন
এটাই আমি চাই।
অনেক দিলাম সংসারেতে
অপূর্ণ কিছু নাই।
চল দুজনে বাচি মোরা
একি সঙ্গে থেকে,
তীর্থে তীর্থে ঘুরে বেরাই
যেকটা দিন থাকে।
কবি পরিচিতি :
মিস্টি অধিকারী সুপ্রিয়া,
স্বামী চন্দ্রজীৎ অধিকারী,
কোলকাতা নিবাসী,
কোলকাতা 49
বিরাটী, নিমতা, প্রতাপ গড়।