কতগুলো বছর কেটে গেলো আমাদের।
অনেক উত্তাল তরঙ্গ প্রবাহের মাঝেও
তুমি স্থির অবিচল আছো আমার মনের,
গভীর গহনে, আছো আমার স্মৃতিতে।
আমার মনের নির্মল নীল আকাশে তুমি
আছো পূর্ণিমার উজ্জ্বল চাঁদের মতো।
আমার জীবনে এসেছে কত যন্ত্রনা
এই হৃদয় বার বার হয়েছে ক্ষতবিক্ষত,
অশান্ত হয়েছে আমার এই দগ্ধ হৃদয়।
আমি তোমাতে হয়েছি কত অভিমানী ।
তোমার স্নিগ্ধ অনুরাগের ছোঁয়ায়,
তোমার গভীর প্রেমের স্পর্শে আমার
এই অভিমানী অস্থির হৃদয় হয়েছে শান্ত,
দূর হয়েছে অভিমান,জেগেছে প্রেম
তোমার জন্য, শুধু তোমারই জন্যে।
জীবনের অপরাহ্নে যখন আমি ক্লান্ত,
আমি অবসন্ন,আমি অসহায়,আমি উদ্ভ্রান্ত,
তখন আমার মনের মণিকোঠায় এসে
তুমি দিলে জীবনে যৌবনের উচ্ছ্বাস।
আমার জীবন সন্ধ্যায় তুমি এনে দিলে
জীবনের আলো আঁধারির পড়ন্ত বেলায়
উজ্জ্বল শরতের উজ্জীবিত যৌবনের
চরম উন্মাদনা , কতো বসন্তের স্মৃতি।
প্রেয়সী আমার জীবনের শেষ সাথী,
তোমার কি মনে পড়ে আমাদের জীবনের
নতুন বসন্তের দুরন্ত যৌবনের দিনগুলি?
স্মৃতিতে ভেসে ওঠে কি সেই মধুচন্দ্রিমা?
মনে পড়ে কি সেই প্রভাতের সূর্যালোকে
ঐ উত্তাল উদ্দাম লাল সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস
পড়ন্ত জীবনের সায়াহ্নে এসেও মনে হয়,
তোমার আর আমার শীতল প্রেমের স্পর্শে,
আমাদের অনুরাগের ছোঁয়ায় আমাদের
প্রেমের সেই নতুন বসন্তের যৌবনে ভরা
প্রথম প্রেমের প্রবাহে আমরা ভেসে চলেছি।
কবি পরিচিতি:-নাম অমর দাস। পিতা মৃত সারদা কুমার দাস ও মাতা মৃত কিরণবালা দাসের কনিষ্ঠতম পুত্র আমি। জন্ম 1959 সালের 14ই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ায়। সরকারী পুনর্বাসন পেয়ে 1966 সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে বসবাসরত। পেশা-ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী। সেবামূলক কাজের সুবাদে আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাবের সদস্য। জীবনের একমাত্র লক্ষ্য সাহিত্যে সমাজে প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য লেখালেখি বিশেষ করে কবিতা লেখা। সব রকম কবিতা পছন্দের মধ্যে রয়েছে। তবে বিশেষ করে প্রতিবাদী কবিতা লিখতে বেশী পছন্দ করি।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*