সূর্য
তোমরা কেউ আমার সমাধিতে
ফুল দিতে আসবে শুধু এই প্রত্যাশায়
আমি রোজ ফিরে আসি তোমাদের কবিতায় ।
যদিও আমার শরীর মাটি খেয়ে নিয়েছে …
আসলে বীভৎস শব্দগুলো
সাজাতে নিজেই ভয় পাচ্ছি ।
তাই ‘ভদ্রলোকের’ ভাষায় বলছি !
এই শরীরেই পূর্বে চন্দন কাঠ জ্বলেছে ,
আগুনকে তোয়াক্কা না করেই ধোঁয়া
গিয়েছে সূর্য ছু’তে ।
যেতে যেতে রাত হয়ে যায়,
সূর্য হত্যা হয় রাতেই ।
ভোরে আবার সূর্য বেঁচে উঠে,
মানুষকে রোজ বেঁচে উঠতে শেখায় ।
কিন্ত এ খবর কোন খবরের কাগজেই আসে না
খবরের শিরোনামে কেবল -‘মেয়েটি ধর্ষিত’
তাই জরা-মৃত্যু-ব্যাধি ছাড়াই আমার রোজ মৃত্যু হয় ।
আমার প্রতিটি মৃত্যুতে নয় মাসের শিশুটি কাঁদে,
একমাত্র সে-ই কাঁদে ।
কারন সেও কোন জরা-মৃত্যু-ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো না ,
তারপরও সে পৃথিবীকে দোষ দেয় না ,
পৃথিবীর সকল সবুজ শিশুটি সাথে করে নিয়ে গেছে …
রাস্তার সবুজ ঘাস ছোট্ট শরীর ঢেকে ছিলো ,
যদিও দু একটি ঘাস বিকৃত জীবের সাক্ষ্য এড়াতে ব্যর্থ হয় ।
অথচ সকল জীবের অস্তিত্ব এখানেই,
হয়ত মাতৃগর্ভ থেকে বাইরে আসার পর
তারা শুধু মাংসপিন্ডেই বড়ো হয়েছে ।
ওরা আরো বড়ো হবার আগেই
ভবিষ্যতের মাতৃগর্ভে
মানুষের বদলে সূর্য ধারন করো ।
যার আলোয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
ছিন্ন ভিন্ন অনুভূতিগুলি আবার নড়েচড়ে উঠবে !
Khaled Mahmud Khan
খালেদ মাহমুদ খান
১৯/০৯/২০২১