লিখেছেন : সম্পদ বিশ্বাস
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
তদুপেক্ষা শান্ত নদীর নরম পলি যে অনেক শ্রেয়,
চেনা ছকের পরিধিতে তার গতিপ্রকৃতি সহজেই অনুমেয়,
আপন সুখের উদ্দেশ্যে নদীর স্বতঃস্ফূর্ততা যে বিধেয়!
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
বেহিসেবী স্রোতে ভেসে যাওয়ায় রোমাঞ্চ আকাশছোঁয়া,
হিসেবী স্বপ্নের কাছে হার মানে দুঃসাহসী হারিয়ে যাওয়া,
নরম পলির পর্ণকুটীরে স্থবির ভবিতব্যেই বুঝি সব পাওয়া!
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
ভাটিয়ালির সুরে জীবনের নাও ভাসিয়ে নদীর বুকে,
এক সমুদ্র না পাওয়ার মাঝেও নিরাপত্তার অলীক সুখে,
সব পাওয়ার স্বর্গীয় আবেশ মাখে মাঝির চোখে-মুখে!
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
অনন্ত যৌবনের উদ্দামতায় মিশে অপবাদ উশৃঙ্খলতার,
বুকের রক্ত ছলকায় হতে গিয়ে দিশেহীন এ পারাপার,
তাই পলিমাখা চরেই সভ্যতার ধ্বজা উড়েছে বারংবার!
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
এদিকে স্রোতের তোড়ে জগদ্দলকে ভাসানোর উন্মত্ত খেলা,
অন্যদিকে বর্ষায় প্রলয়নাচনে দুকূল ছাপানোর ধ্বংসলীলা,
জীবনের আঙিনায় ভিন্ন রূপে নদীও যেন এক হরবোলা!
খরস্রোতা কে ই বা চায়!
কালের নিয়মে মৃত্যুর কালাপাহাড় অতিক্রম ক’রে,
জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে নতুন সভ্যতার বীজ বপন ক’রে,
খরস্রোতাও মনেপ্রাণে নতুন জীবনেরই আরাধনা করে।
তবুও খরস্রোতা কে ই বা চায়!!