লিখেছেন : নুপুর বিশ্বাস 

~•~•~•~•~•~•~•~•~
চার-দেয়াল,
বন্দী খেয়াল,
স্বপ্নেরা জাল বোনে।
‌ দিচ্ছে হানা,
শুনছে না মানা,
স্মৃতিরা মনের কোনে।
নরম ঘাসে,
হাওয়ায় হাসে,
আত্মপাগল ভোলা।
মধুর গীতি,
হারানো স্মৃতি,
মনেতে দিল দোলা।
ফুল ফুটেছে,
নৌকা ছুটেছে,
চাঁদ তারার মেলা।
স্বপ্ন হাজার,
ইচ্ছেরা মজার,
ভাসে সুখের ভেলা।
ঘরের কোন,
নিকোনো উঠোন,
চড়ুইভাতিতে মাতি।
বর্ষা বাদল,
বাজলো মাদল,
মাথায় তুলি ছাতি।
খুলেছে হাল,
তুলেছে পাল,
ছুটেছে ওই সাম্পান।
দরাজ গলা,
সাম্পানওয়ালা,
ধরেছে ভাটিয়ালি গান।
চড়ক পূজা,
সন্ন্যাসী সাজা,
খেজুর ভাঙ্গা গাছে।
শ্মশান ঘাট,
সেই হাজির হাট,
এখনো তেমনি আছে।
ঘরের দাওয়া,
পুবের হাওয়া,
আমার চেনা বাটে।
পদ্ম-পুকুর,
গ্রীষ্মের দুপুর,
শান বাঁধানো ঘাটে।
শীতের বিকেল,
পাটালি-নারকেল,
পিঠা উৎসবে মাতি।
সন্ধ্যা-বেলায়,
তুলসী তলায়,
সন্ধ্যার সাঝবাতি।
বকুল তলা,
বৈশাখী মেলা,
শিশির ভেজা ভোর।
ফুল কুড়ানো,
শালুক পোড়ানো,
স্মৃতিরা খুললো দোর।
শিশিরের ভোর,
হারানো কৈশোর,
কত না আড্ডাবাজি।
‌ মনেরই বীণা,
বিরহ সুর-মূর্ছনা,
হৃদয়ে উঠেছে বাজি।
নদীর দু’পারে
খালের দু’ধারে
একপায়ে দাঁড়িয়ে বগা।
বটের ছায়ায়,
সবুজের মায়ায়,
আমার সোনাঝুরি গাঁ।
কেমন আছো?
ভালো আছো?
আমার বসত ভিটা!
কান্দে নয়ন,
কান্দে পরান,
তুমি যে বড়ই মিঠা।
~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*