মা

-রবি বাঙালি

∞∞∞∞∞∞∞∞

এই জীবনে চলার পথে

অনেক লোকই রবে

মায়ের মতো নিখাদ স্বজন

কেহ নাহি হবে।

কষ্ট সহে মা জননী

সন্তানের সুখ তরে,

আগলে রাখে সব বিপদে

এই অবনী পরে।

মায়ের স্নেহ ভালোবাসায়

হৃদয় ভরে সুখে,

তাঁর পরশে মন ছুঁয়ে যায়

আশা জাগায় বুকে।

মায়ের আশীষ যদি থাকে

জীবন হবে ধন্য,

মা জননী নাইরে যাদের

দুঃখ তাদের জন্য।

মাকে কেহ আর রেখোনা

বৃদ্ধানিবাস কোণে,

ঠাঁই যেন হয় আপন গৃহে

রেখো সবাই মনে।

খুশি মনে মা জননী

হাত রাখিলে শিরে,

ধন সম্পদে সুখ শান্তিতে

ভরবে তোমার নীড়ে।

তোমরা কেন বড় হয়ে

মাকে যাও যে ভুলি,

স্বার্থের স্বজন আপন ভেবে

চোখে পড় ঠুলি।

শিশুকালে যে জননী

রাখে আঁচল তলে,

বউয়ের কথায় কেন তারে

ভাসাও চোখের জলে?

মায়ের সেবা করে কভু

হয় না শোধ তার দেনা,

গর্ভের ভাড়া দুধের ধারা

যায় না কভু কেনা।

মায়ের রক্ত বহে দেহে

তাঁরই ভাষা মুখে,

তাঁরই দুগ্ধ সুধা পানে

বেড়ে ওঠা সুখে।

ভ্রুণ হতে অদ্যবধি

সহে নানা কষ্ট,

তিলে তিলে বড় করে

সুখ করে তাঁর নষ্ট।

মা যে সবার স্বর্গের চাবি

করতে হবে যতন,

ধরনীর তলে তাঁর মতো নেই

অমূল্য যে রতন।

এই ধরাতে মায়ের সেবা

পরকালের পুণ্য,

নইলে তোমায় যেতে হবে

আমল নিয়ে শূন্য।

∞∞∞∞∞∞∞∞

কবি পরিচিতি :

রবি বাঙালি। প্রকৃত নাম মো. রবিউল আউয়াল। মোছা. হাজেরা খাতুন ও মো. তছলিম উদ্দিন দম্পতির ঘর আলো করে ১৯৭৫ সালে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্তর্গত নিতাইনগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।বগুড়ার সান্তাহার এস এম আই একাডেমি হতে ১৯৯২ সালে এস এস সি, চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজ হতে ১৯৯৪ সালে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হতে যথাক্রমে বিএ অনার্স ও এমএ( দর্শন) ডিগ্রি ১৯৯৭ ও ১৯৯৮ সালে কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস এর ২৪ ব্যাচের একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি কলেজে যোগদানের মাধ্যমে অধ্যাপনা শুরু হয়।তিনি নিতাইনগর হাজেরা ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাডেমিক ও গবেষণামূলক বহু গ্রন্থ প্রণেতা।তিনি প্রবন্ধ, গল্প,কবিতা, ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও উপন্যাস লেখন যা স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তিনি হাজেরা ফাউন্ডেশন এর মূখপত্র ‘ লিটারেচার রিভিউ ‘ শীর্ষক জার্নালের সম্পাদনা করেন।বর্তমানে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*