বিশ্ব মাতৃ দিবসে
-বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আজি বিশ্ব মাতৃদিবসে মোর
মায়ের চোখে কেবলি অশ্রু ঝরে ?
ঊনআশির্দ্ধো বয়সী বৃদ্ধ পিতার ভিমরতি ধরেছে
মা কে আর সেভাবে ভালোবাসতে আর না পারে।
সারা জীবন ধরে মা দুঃখীই থেকেছে
পিতৃহারা হয়েছে যখন ছিল মাতৃজঠরে।
মায়ের কোন সহোদর ভাই বা বোন নেই
তার মা গত হলেও কত দুঃখ পেয়েছে অন্তরে।
স্বামীর ছিল অন্য কেউ যৌবনের তরে
যৌবনে মা কে ঘরে এনেছিল তবে কি
কেবল মাত্র বাচ্চা উৎপাদনের যন্ত্র করে !
মায়ের চার পুত্র কন্যা অন্যত্র রয়েছে ঘরে বাইরে
ছেলে মেয়েদের বোঝা হতে চায় না তো মা এক্কেবারে।
জোর করলেও যেতে চায়না অন্য পুত্রকন্যার দোরে
কষ্ট হলেও শ্বশুরের ভিটেমাটি বারংবার থেকেছে আঁকড়ে ধরে।
ফোনের ওপার থেকে চাপা কান্নাই ভেসে আসে
ঐ কান্না শুনতে পেলাম আজ বিশ্ব মাতৃ দিবসে!
বয়স্ক পিতামাতাদের সম্পর্কের এই আলগা বাঁধন শক্ত হবে কিসে ?
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
কবি পরিচিতি-
নব প্রজন্মের কবি শ্রী বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ( পিতা শ্রী যুত্ বাদল মণ্ডল ও মাতা শ্রীমতী শীতলা দেবী ) মহাশয়ের জন্ম পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর থানার অন্তর্গত গদীবেড়ো নৈসর্গিক গ্রামে।
গ্রামের পটভূমিতে রচিত হয়েছে প্রকৃতি প্রেমী বিভূতি ভূষন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের অতি প্রাকৃত গল্প ‘ রঙ্কিনী দেবীর খড়গ ‘।
কবি পেশায় শিক্ষক ও নেশায় বাগান প্রেমী । তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত পরমানন্দপুর রমানাথ বিদ্যাপীঠ এর সহকারী শিক্ষক পদে নিযুক্ত রয়েছেন।
শ্রী শ্রী রামচন্দ্র আর্দশ বিদ্যালয়, গদীবেড়ো থেকে পড়াশোনার সাথে সাথে বিদ্যালয় পত্রিকা ‘ ধ্রুব তারা ‘ য় প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা প্রকাশিত হয়।
একক কাব্য গ্রন্থ ‘ অনুভব ‘ ‘ অনুরণন ’ ও ‘অপরাহ্নের প্রেয়সী ‘ ( পঞ্চবান শৈলীতে ) , ‘ অনুরাগ ‘ ( হাইকু শৈলীতে ) , ‘ অনুভূতি ‘ ( বত্রিশা অণু গদ্য কবিতা শৈলীতে ) , ‘ অনুভা ‘ ( অনুভাষ শৈলীতে ) প্রকাশিত হয়েছে । রাজ্য দেশ তথা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলা সাহিত্য সাধনায় ব্যাপ্ত রয়েছেন।
রুক্ষ মাটির ঊষরতা কবিকে করেছে আত্মপ্রত্যয়ী, মধ্যবয়সে এসে জীবন বোধে স্থিতপ্রাজ্ঞ হয়ে জীবন সম্পর্কে কবির বহুবর্ণীল অনুভূতি মালা প্রকাশ পেয়েছে ” অনুভাবিত ” বিশেষ কবিতা সংকলনে।