ত্রিবেণীসঙ্গমে পূণ্যস্নান
-বিজয়া মিশ্র
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
পবিত্র মহাকুম্ভ মেলার আয়োজন
কত সহস্র পূণ্যার্থীর ঢল,
পূণ্য ক্ষেত্রে মহাযজ্ঞ চলছে
প্রয়াগ ভূমি শৌর্যে ঝলমল।
প্রতি একশ চুয়াল্লিশ বছর অন্তর
মহাকুম্ভের মহাক্ষণ আগত,
আমাদের প্রজন্মে এই প্রথমবার
ভাবলে হয়ে উঠি শিহরিত।
গঙ্গা যমুনা সরস্বতীর মিলনস্থলে
বিস্তীর্ণ প্রান্তে হয়েছে আয়োজন ,
প্রায় দেড়মাস কাল ধরে
পূণ্যস্নান করবেন ভক্তগণ।
সঙ্গমস্থলে উচ্ছল স্রোতস্বিনী
ধৌত করছে কলুষনাশিনী ধরায়,
সাধুসন্ত কিংবা সাধারণ মানুষ
মহাকুম্ভস্নানে চিত্ত জুড়ায়।
সাত লক্ষ কোটি টাকা ব্যায়ে
দেড় লক্ষাধিক অস্থায়ী তাঁবু আশ্রয়ে,
ভক্তেরা খুশি বিচিত্ররূপী
নাগা সন্ন্যাসীর দর্শণ পেয়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ধর্মীয় অনুষ্ঠান
ইনটানজিবল্ কালচারাল হেরিটেজ,
এই আখ্যায় আখ্যায়িত হয়েছে
বিভিন্ন মিডিয়ায় বর্ণিত সেই ফুটেজ।
প্রায় চল্লিশ কোটি ভক্ত সমাবেশে
অনেকেই গেছেন উপার্জনের আশায়,
সঙ্গে আছে মহাপূণ্য স্নান
অন্তরঙ্গ সবে প্রকৃতির লীলায়।
∞∞∞∞∞∞∞∞∞
কবি পরিচিতি
বিজয়া মিশ্র পাহাড়ী র জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উত্তর কোটবাড় গ্ৰামে।পিতা স্বর্গীয় মুক্তিপদ পাহাড়ী ,মাতা স্বর্গীয়া মাধবীলতা পাহাড়ী।প্রকৃতির শ্যামলিমায় গ্ৰাম্য পরিবেশের মুক্ত হাওয়ায় আশৈশব লালিত। বর্তমানে কলকাতাবাসী ।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় স্নাতকোত্তর। লেখালেখি,আবৃত্তি,বক্তৃতা, সঞ্চালনা,লেখালেখির সূত্রপাত বিদ্যালয় জীবন থেকেই,শিক্ষিকাগণের উৎসাহে।চরম দারিদ্রের মধ্যেও সব বাধা টপকে যাওয়ার অদম্য স্পৃহা আশৈশব পায়ের তলায় মাটি খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে। বাংলা ভাষা ছড়াও চিকিৎসা বিষয়ক একটি শাখায় স্নাতক হিসেবে শিক্ষা সম্পূর্ণ ক’রে দীর্ঘদিন চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষকতা,পরে স্কুল শিক্ষায় যোগদান -সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় পথচলা ভাবনার রসদ যুগিয়েছে,যুগিয়ে চলেছে।প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাই কবির কবিতা,গল্প ও অন্যন্য লেখার উপজীব্য। নমস্কার, ধন্যবাদ।