নদী ও বুড়ো বট

-পরাগ ভট্টাচার্য

 

বিকেলের ছায়া পড়েছিল কখন নদীর বুকে 

বুড়ো বটের ছায়া আশ্লেষে নদী ধরেছিলো জড়িয়ে

টলমল করছিলো সে ছায়া জলের ঢেউয়ে

মনে হচ্ছিলো এই আছে এই নেই ফেলবে হারিয়ে

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামে ধীরে ধীরে

অন্ধকারে সে ছায়া যায় যে হারিয়ে

নদীও যে পারেনি বুঝতে

তখন শিলীভূত পুঞ্জ পুঞ্জ অন্ধকার

নদীর গভীরে !

শ্মশান যাত্রীরা শব বয়ে আনে নদীর পারে

আমি তখন দাহকার্য দেখি এসে

একটা জীবনের অন্তিম লগ্ন আসে কিভাবে !

সব শেষ হলে ছাইয়ে শীতল করা জল ঢেলে

নাভি কুন্ডল মাটির সরায় ঢেকে

সেই ভাসাবে জলে

স্নান পর্ব শেষ হলে

হরিধ্বনি দিতে দিতে ফেরা ঘরে

আদ্যোপান্ত সব যাই দেখে !

ভোর হয় ধীরে ধীরে

সময় চলে তার নিজস্ব ছন্দে !

শুধু বুড়ো বট ভাবে

কোনোদিন কোনো হঠাৎ ঝড়ে

যদি ভেঙে পড়ে তার ডালপালা পাতা ঝুড়ি নিয়ে

ভেসে যাবে নদীর জলের স্রোতে ঢেউয়ে ঢেউয়ে

শুধু ঢেউ আর ঢেউ , ঢেউয়ে ঢেউয়ে !!

 

কবি পরিচিতি:

পশ্চিমবঙ্গের খড়দহ এ জন্ম ১৯৫৯ সালে l পড়াশোনা এখানেই l তারপর চাকরি ১৯৭৮ সালে l চাকরি পাওয়ার পর কলকাতায় বসবাস l দীর্ঘ চল্লিশ বছর কলকাতায় কাটিয়ে আবার খড়দাহয় ফিরে আসা l কবিতা লেখার অভ্যাস ছোট থেকে l কিন্তু একজনের অনুরোধে ফেসবুকে কবিতা পোস্ট করি l আমার কবিতা কলকাতার চতুষ্কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় l এখানে অমর্ত্য বলে একটা পত্রিকাতে নিয়মিত কবিতা প্রকাশিত হয় l এখন এই অপরাহ্নে গান আর কবিতাতেই যাপন l

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*