লিখেছেন : অনন্যা পাল সেনগুপ্ত
সখী,ভাবনা কাহারে বলে।সখী,যাতনা কাহারে বলে। তোমরা যে বলো দিবস রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ ভালোবাসা’_ সখী, ভালোবাসা কারে কয়!সে কি কেবলই যাতনাময়। এফ.এম এ এই রবীন্দ্র সঙ্গীত, শুনতে শুনতে মিতু বহু বছর আগের একটা দিনে হারিয়ে গেলো,যে দিনটার জন্য আজকের এই কঠোর কঠিন মিতু হয়ে ওঠা। আর পাঁচটা স্বাভাবিক কিশোরী র মতোই কৈশোর বেলা কেটেছিল মিতুর, তারপর এলো মধুর যৌবনের দিন।মিথ্যা ভালোবাসার হাতছানি তে পথভ্রষ্টা হলো সে। ভালোবাসা র ভালো বাসার পাওয়ার লোভে ভুলেই গেলো ভালোবাসা টা ভালো বাসা পায়নি , পেয়েছে খারাপ বাসা।সে বাসায় অক্সিজেন আসে না ,আসে শুধু কার্বন ডাই অক্সাইড। ভালোবাসার চাদরে মোড়া নরকযন্ত্রণা কে নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেললো ফলে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তার জীবন তীব্র নরক যন্ত্রনা আরকার্বন ডাই অক্সাইড এর বিষাক্ত বায়ুতেই কাটাতে লাগলো। নিজের ভুলের মাশুল সে গুনে যাচ্ছিল আর করছিলো শেষদিনের অপেক্ষা। তারপর একদিন এক কালবৈশাখী র ঝড়ে বাসার একটা ঘর ভাঙায় অক্সিজেন ভর্তি এক চোরাকুঠুরীর ঘরের সন্ধান পেলো সে। প্রাণ ভরে অক্সিজেন নিলো সে। অক্সিজেন নিতে নিতে দেখলো তার মন কিন্ত কার্বন ডাই অক্সাইড এ ভর্তি হয়নি, শুধু কোমলতার জায়গা য় এসেছে কঠোরতা। কিন্তু সে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ছোঁয়ায় সে আবার ফিরে পেলো তার ভালোবাসা। কিন্তু এবার ভালোবাসা আর ভালো বাসা খুঁজবে না, থাকবে শুধু ই তার ভালোবাসা হয়ে আর খারাপ বাসার জন্য থাকলো তার কঠোর কঠিন রূপ,মুখ আর মুখোশের আড়ালে চলে গেলো তার আসল, নকল রূপ।মিতু ভাবজগৎ থেকে বেরিয়ে এসে দেখলো ,আর শুনলো সেই রবীন্দ্রসঙ্গীত শেষ হয়ে নতুন আরেকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শুরু হয়েছে ‘মোর ভাবনারে কী হাওয়ায় মাতালো, দোলে মন দোলে অকারণ হরষে।’