জাতীয় সংগীত

-হাসানুজ্জামান নুর

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

বহুদিন আগের কথা তখন হিন্দু মুসলমান একঘাটে মিলে মিশে বসত করতেন। তাদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হতো না।আমার গ্রাম থেকে একটু দূরে ঘড়ি লাল প্রাইমারি স্কুল। একদিন আমার হাতে চক ধরিয়ে কালো রঙের স্লেটে হাতে খড়ি দিয়েছিলেন কালি পদ স্যার। তখন অবশ্য বাঁশের আগা দিয়ে কলম বানিয়ে ছাই পোড়ানো কালি দিয়ে আমরা লিখেছি তালপাতার লম্বা চিকন পাতার উপর।

তখন আমি টুকটাক গান গাইতে পারতাম। আমাদের গ্রামের সামনে দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। সেই নদীর জলে বড় বড় নৌকার মাঝির কন্ঠে ভাটিয়ালি গানের সুরে আমার মন উদাস হয়ে যায়! নদীর জোয়ার ভাটার টানে উদাসী হাওয়া মিলে মিশে পল্লীর সবুজ শ্যামল ছায়া কি এক অজানা আকর্ষন অনুভব করেছি শৈশবের দিনগুলোতে । নদীর ওপারের মানুষ গুলোকে এপারে দাঁড়িয়ে দেখে ভেবেছি ঐ পায়ের মানুষেরা

কি আমাদের মতো? আমাদের গ্রামের মতো কি ওপারের গ্রাম দেখতে! একদিন খেয়াঘাটে যেয়ে ঐপারে গেলে মন্দ হয়না। কিন্তু ওরা তো আমাকে চিনে না। অপরিচিত মানুষের সাথে ওরা কথা বলবে? হয়তো কোন কিছু বললে উত্তর দিবে না। তাতে কি হয়েছে! তবুও আমি একদিন ঐ পারে ঘুরতে যাব। ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ঐ পারে যে বড় গাছটি দেখা যায়,ঐ গাছের নীচে দাঁড়াতে হবে একবার । কি বিশাল গাছ। গাছটির একটা নাম থাকার কথা! হয়তো বট গাছ হবে। তার খানিকটা দুরে যে তাল গাছ টি ঐ তাল গাছের নীচে বসে তাল গাছের ছড়া টিও পড়ব। খুব মজা হবে। গ্রামের দৃশ্য দেখতে দেখতে সারাদিন পার করে দেব।মা অবশ্য একটু খোঁজা খুঁজি করবে। আপন মনে এইসব যখন ভাবছি তখন হঠাৎ ইউসুফ ভাইয়ের ডাকে আমার স্বপ ভেঙে যায়! উনি আমার গানের ভক্ত। আমি অবশ্য গান জানিনা। তবে ইউসুফ ভাই এলাকায় রটিয়ে দিয়েছে আমি নাকি গান গাইতে পারি!

আমার কন্ঠ কেমন ছিল তা জানি না তবে গ্রামে কোনো অনুষ্ঠান বা কিছু হলে কাশির হাট বাজার থেকে ভাড়া করে

মাইক আনা হত। আমি মাইকের শব্দ শুনলেই পাগল হয়ে যেতাম। একদিন খেতে বসেছি এমন সময় মাইকের আওয়াজ শুনে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি না।

আব্বুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি,, আব্বু টের পেলেন। তখন আমার পায় কে! খাওয়ার থালা রেখে দৌড়ে হালদার বাড়িতে হাজির হলাম। আমাকে দেখে মোদের ভাই মাইক আমার হাতে ধরিয়ে দিল। আমি গান গাইতে লাগলাম।বলা ভালো যে, আমি কোনো গান তেমন জানিনা।দু একটা লালনগীতি ও নজরুল গীতি

প্রথম দুই তিন লাইন গাইতে পারতাম। কারন গান গাইতে গাইতে গায়েন এর মতো অবস্থা যেন। আমার কোন শিক্ষক ছিল না। রেডিও শুনে গান শিখতাম। পাশের বাড়ির রশিদ ময়রা জারি গান গাইতেন। তার গান শুনে অনেক অনুপ্রেরণা পেতাম। তিনি অনেক ভালো কবি গান,জারি গান ও পুঁথি পাঠ করতেন। সারারাত রহিম রূপবান এর পুঁথি শুনে ভোরে বাড়িতে এসে চুপিচুপি ঘুমিয়ে পড়েছি।সে অনেক কথা! হাজার রাত পার হয়ে যাবে সেই সব কথা বলতে গেলে।তাই আজকে সেদিকে যাবনা।

অজ পাড়াগাঁয়ে তখন কোনো মানুষ জন সরকারি চাকরি ছাড়া আসতে চাইত না। যাই হোক আমি গান ধরতাম নিজের মতো করে।সুর তাল লয় যে আছে গানের মাঝে তা কখনোই আমি বুঝতাম না। আমার কয়েকজন বড় ভাই ছিলেন তাদের সাথে দেখা হলেই আমাকে গান গাইতে বলতেন। আমার গানের ঝুলি শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ে যেতাম। তবে তা নিয়ে আমার কোন ভয় ছিল না কারণ আমি উপস্থিত চিন্তা করে গান ধরতাম সাথে সুর নামক বিষয় টি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতাম। কখনো কখনো গান না গাইলে আমার শ্রোতারা বিরক্ত করতো এমনকি গায়ে চিমটি কেটে ব্যথা দিত।বাধ্য হয়ে গাইতে গাইতে হাঁপিয়ে উঠতাম।লেখার হাত ভাল ছিল। তখন ছড়া কবিতা ও গান লেখার চেষ্টা করতাম।

সেই দিন গুলো মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।

আমি ঘড়িলাল স্কুল বাদ দিয়ে পাশের গ্রাম চরামুখা দাখিল মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম। সেখানে নতুন পরিবেশে মিশতে আমার খানিকটা বেগ পেতে হয়েছিল। তবে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেই সমস্যা। কারন আমি ছড়া, কবিতা লিখতাম এবং ছবিও আঁকার চেষ্টা করতাম যদিও তা নিতান্তই সাধারণ। তবে এটা ঠিক যে গ্রামীণ সংস্কৃতি আটপৌড়ে টাইপের আঁকা ও লেখা গুলো আজ ও আমাকে আনন্দ দেয়।

একদিন ক্লাসে একজন শিক্ষক এলেন দেখতে খুব সাজুগুজু টাইপের।স্যার বলে সম্বোধন করল সবাই। স্যার বাংলার শিক্ষক। উনি মাঝে মধ্যে ক্লাসে নাকি কখনো কখনো গান গাইতেন। সেদিন ও স্যার একটা লালনগীতি গাইতে গেলে বাবুল বলল স্যার , বড় হুজুর দেখলে রাগ করবেন। স্যার কিছু না বলে নিশ্চুপ হয়ে যায়। পরে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন তুমি কি নতুন ছাত্র? কি নাম? বললাম, আকাশ। বাহ্ বেশ নাম তো! লেখা পড়া ছাড়া আর কিছু জান? আমি যেমন গান গাইতে পারি! তুমি কি গান গাইতে পারি? আমি কিছু না বলে নিশ্চুপ হয়ে রইলাম। আমার পাশ থেকে বাবুল বলল স্যার ও ভাল ছবি আঁকতে পারে শুনে। উনি বেশ খুশি হলেন। আমাকে বললেন তুমি আমার একটি ছবি এঁকে দাও তো? আমি বললাম স্যার ঠিক আছে। আমার বা পাশ থেকে মহিব আবার বলল স্যার বড় হুজুর দেখলে রাগ করেন যদি ! বলা বাহুল্য এই বড় হুজুরের ভয়ে সবাই আতংকে থাকে।

গ্রামের মাটির রাস্তা ধরে একা একা বাড়ি যাচ্ছি আর ভাবছি নতুন ক্লাসের কথা। বাবা কথামতো মাদ্রাসায় ভর্তি হলাম। হঠাৎ পিছন থেকে আমার নাম ধরে ডেকে উঠলেন নজরুল স্যার। আমি সম্বিত ফিরে পেলাম। বললাম স্যার আপনি? স্যার আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন আমার বাসা ও এই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। কিছুদুর সামনে এগিয়ে গেলে ডানপাশে সরদার পাড়ায় আমি থাকি।

একদিন নজরুল স্যার আমার কিছু শিশুতোষ শিল্পকর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। আমি তখন কাগজের পাতায় নানা রকম ফুল পাখি ও গ্রামের দৃশ্য আঁকতাম। তখন আমার রং ছিল ধোঁয়াতে ভরা লাল সবুজ কালো রঙের লুসাই কালি ও কর্ণফুলী কাগজের দিস্তা ছিল আমার সেদিনের ক্যানভাস। এমনকি শিম গাছের পাতার রস দিয়ে সবুজ রং তৈরি করতাম যখন কালি ফুরিয়ে যেত । পুঁইশাক এর লাল বিচি দিয়ে লাল রঙের ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করতাম। আমাদের সবজি বাগানের কাঁচা হলুদ গাছ উঠিয়ে ছুরি দিয়ে কেটে ফুল এঁকে ডলে দিলে হলুদ রঙের ফুল ফুটে উঠতো। আমার মন আনন্দে ভরে যেত। তবে আব্বু এসব পছন্দ করতেন না। ছোট চাচা লতিফ গাজি কে প্রায় নালিশ করতেন – ও লতিফ তোমার ভাইপোর এত রকমের কালি লাগে কেন?

গ্রামের সব ছেলে মেয়েদের তো শুধু কালো কালি হলেই লেখাপড়া চলে! ওর তো নানা রকমের কালি লাগে ! এত টাকা আমি খরচ করতে পারবোনা। লতিফ চাচা এটা সেটা বুঝিয়ে গল্পের বইয়ের পাতায় মন দিতেন।

আব্বু ছাত্রের মত সেই গল্প শুনতেন।দুই ভাইয়ের মধ্যে গল্প নিয়ে যখন তর্ক চলত তখন আমি দুর থেকে শুনতাম।যাক এসব আমরা আগের জায়গাতেই চলে আসি

আমাদের গ্রাম মাটিয়া ভাঙ্গা আর নজরুল স্যার লজিং মাষ্টার থাকার গ্রাম ছোট আংটি হারা মাঝখানে বিশাল একটি মাঠ রয়েছে। সেই মাঠের মাঝ বরাবর একটি রাস্তা ঘড়ি লাল বাজার থেকে ধনুকের মত সোজা চলে গেছে গোলখালি গ্রামের শেষ মাথায়। এই বিশাল মাঠ বা বিলে বর্ষাকালে

বছরে মাত্র একবার ধানের চাষ হতো। তাছাড়া সারাবছরই পড়ে থাকত সেই বিস্তির্ণ ফাঁকা মাঠ। এই বিলে আমাদের শৈশবের দিনগুলোর বহু স্মৃতি পড়ে আছে। তা অন্যদিন বলা বলব। নজরুল স্যার এই বিলের মাঝে ফাঁকা জায়গায় আমার গান শেখাতেন। উনি শুধু লালনগীতি জানতেন। স্যার দরাজ গলায় গান ধরতেন আমি ও তাঁর সাথে গাওয়ার চেষ্টা করতাম। এই ভাবে বহুদিন ফাঁকা মাঠে আমি লালনগীতি, বাড়ির কাছে আরশি নগর একখান পড়শি বসত করে আমি একদিন না দেখিলাম তারে’ মিলন হবে কত দিনে আমার মনের মানুষ এর সনে ‘। আমাদের গুরু শিষ্যের কন্ঠ অজ পাড়াগাঁয়ের বিশাল প্রান্তর জুড়ে বেজে চলেছে লালনের গানের সুর।দুর থেকে সেই গান শুনতে শুনতে রাখাল ছেলে গরু নিয়ে গোয়ালে ফিরে যায় সন্ধ্যাবেলা । মাঠের ধান কুড়োনো মেয়েটি তাকিয়ে থাকে আবাক হয়ে সেই গানের সুর শুনে।ও পাড়ায় রশিদ ময়রা মাথায় মিষ্টির ঝুড়ি নিয়ে মধ্য বিলের সেই রাস্তা ধরে ঘড়িলালের হাটে চলেছে সেই গানের সুর ধরে। আমার তখন ও জানা হইনি কে সেই লালন , কেন – ই বা তাকে ফকির বলে সবাই! এই ভাবে বেশ কিছু দিন নজরুল স্যার থেকে বেশ কয়েকটি লালন গীতি শিখে ফেললাম।এ ছাড়া বেশ কিছু ভাটিয়ালি পল্লি গীতি গান নিজের ভাল লাগার কারনে শুনে শুনে শেখার চেষ্টা করতাম। আমাদের এলাকার চারদিকে নদী নৌকা মাঝি মললা ও গ্রামের দৃশ্য নবান্নের ধান ক্ষেত বর্ষাকালে ধান চাষের সময় আইলে বসে একা একা মাটির পুতুল তৈরি করা,

শীত মৌসুমে সকালে রাস্তার ধারে বসে সাজাল পোহাতে বেশ ভালো লাগত। বৈশাখ মাস এলেই রঙিন ঘুড়ি উড়িয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পার করে দিতাম।ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরে বৈঠক খানার শেষ দিকে যেখানে আমাদের পড়ার টেবিলে বসে বইয়ের পাতায় মুখ ঢেকে পড়তে বসতাম। কিছুক্ষন পর আব্বু ও বড় ভাইয়া এসে বকাঝকা করে চলে যেতেন।

ততদিনে গান গাওয়া নিয়ে আমার একটা ছোট খাটো নাম ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। অথচ আমি গানের কিছুই বুঝিনা। তবুও প্রায় গান গাইতে হয়। এদিকে আমার পুর্বের স্কুল ঘড়িলাল প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক মোহাব্বত স্যার একদিন আমাকে বললেন, তুমি একটু কষ্ট করে স্কুলের ছেলেমেয়েদের জাতীয় সংগীত শেখাও। কারন আমাদের স্কুলের গানের স্যার বললি হয়ে চলে গেছে।জাতীয় সংগীত শেখানোর এখন কোনো শিক্ষক নেই। তাই তুমি যদি একটু কষ্ট করে শেখাও খুশি হব। আমি রাজি হয়ে গেলাম। এটা তো আমার প্রথম স্কুল। মোহাব্বত স্যার আমার অনেক প্রিয় শিক্ষক। ওনাদের কথা কি অমান্য করা যায়! তা ছাড়া এখানে আমার শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বলা উচিত যে,আমি প্রথম যেদিন এই স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ক্লাস করি তখন স্কুলের মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আমাদের সবাইকে জাতীয় সংগীত গাইতে হত। মাথার উপরে পতপত করে শব্দ করে উড়ছে লাল সবুজের পতাকা।ডান হাতে পতাকার প্রতি সেলুট করে চলে যাই ক্লাসে । তার দুবছর পর আমার আব্বু আমাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন। এখানে একটি কথা পরিস্কার করা দরকার; তখন গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন ছিল শিক্ষার অভাব তেমনি ছিল আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভয়।

একদিন যখন সুন্দর বন দাখিল মাদ্রাসা

থেকে ক্লাস শেষে বিকেলে বাড়ি ফিরছি তখন মোহাব্বত স্যার আমাকে তার রুমে নিয়ে গেলেন ঘড়ি লাল স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। যদিও কয়েক জন কে পূর্ব থেকে চিনতাম চিনতাম। পরে সবাইকে বললেন আগামী কাল থেকেই আবার জাতীয় সংগীতের ক্লাস শুরু হবে ।স্কুল ছুটির পর তোমরা সবাই উপস্থিত থাকবে তখন।

সেই থেকে আমার ক্লাস ছুটি হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রাইমারী স্কুলে এসে পৌঁছে যেতাম।এসে দেখি স্কুল ছুটির পরে ও আমার জন্য অপেক্ষা করছে অনেক ছেলে মেয়েরা।তা দেখে মনে মনে আমার খুব ভালো লাগতো। নিজেকে একটু ওস্তাদ ওস্তাদ মনে হতো। আমি প্রায় দেড় দুই ঘণ্টা জাতীয় সংগীত গেয়ে শুনাই ও আমার নতুন ছাত্র ছাত্রীরা তা রপ্ত করে। কিছু দিন পর অনেকেই ভাল ভাবে জাতীয় সংগীত শুদ্ধ করে গাইতে শিখে। আমার ও তখন কদর বেড়েছে। প্রতিদিন

জাতীয় সংগীত এর ক্লাস শেষে আমার এক কাপ লাল চা ও দুই তিন টা বিস্কুট খেতে দেয়। ক্লাস শেষে বিকেলে ক্ষুধার্ত থাকায় নাস্তা খেতে আমি নিজেই খানিকটা গর্ব বোধ করতাম। বহু বছর পর

দেশে জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করার জন্য দাবি উঠেছে। অথচ যে জাতীয় সংগীত আমরা শৈশব থেকে গেয়ে আসছি

তা তো আমার রক্তে মজ্জায় মিশে আছে

তা কি করে পরিবর্তন করতে পারবেন?

আমি যে জাতীয় সংগীত আমার মননে ধারন করেছি! তা কি আর ভোলা যায়! সে যে আমার হৃদয়ের মাঝে জেগে আছে হাজার বছর ধরে। সেই জাতীয় সংগীত গাওয়ার ডাক পড়েছে। আমরা সমবেত হয়ে সমবেত হাজার কণ্ঠে গেয়ে উঠি;

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ তোমার বাতাস আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।

∞∞∞∞∞∞∞∞∞

লেখা: হাসানুজ্জামান নুর

১২/৯/২৪

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*