চাইলে ছুঁতে শিখরখানা

-পিন্টু বেতাল

⇔⇔⇔⇔⇔⇔

যতটা সহজ- নেমে আসা,

তারচেয়েও, অনেক বেশি কষ্টকর- শিখরে পৌঁছানোটা।

চাইলে যে কেউ নামতে পারে নীচে, নরকও ভেদ করে;

অনেকেই আবার, পায় না ছুঁতে শিখর- হাজার চেষ্টা করেও।

ওঠানামা চলতেই থাকে- ঘড়ির কাঁটার তালে,

লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেই, বুঝি- বাঘ পড়েছে পালে।

পই পই করে বলার পরেও, সেঁধায়নি যা- অহং বধির কানে,

অল্প ছোঁয়ার নরক জ্বালাও-

উন্নতশির শিখরখানার মাহাত্ম্যটা মানে।

কেউ ধরো ঐ পৌঁছে গেছে- অর্ধেক চড়াই উৎরাই-এ,

এমতাবস্থায়- ঘটতে পারে অনেক কিছুই, হঠাৎ!

একটা বিশাল ধস্, কিম্বা ঐ ধেয়ে আসা মহাপ্রলয় ঝড়-

কেমনে বধিবে অশনিকে!!

সমস্তটাই- ইচ্ছাশক্তি ও সহ্যক্ষমতায় নির্ভর।

মনে করো যদি- হেরে গেছো, হারিয়ে যাবে;

আর যদি চাও জিততে বাধা, সুফল পাবে;

মোদ্দা কথা- লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেই পথে, বিনাশ হবে।

ধ্বংসেরও কিছু চিহ্ন থাকে, সর্বনাশের- ইতিহাস;

পই পই করে বলার পরেও, চড়তে কি চাও পিচ্ছিল বাঁশ?

যতটা সহজ নেমে আসা,

ঢের বেশি তারও কষ্টকর- শিখরে পৌঁছানোটা;

নাও যদি পারো ছুঁতে শিখর, চেষ্টা কোরো-

ছাড়লে বেহাল, পুড়বে কপাল,

হাজার চেষ্টা চরিত্রতেও- পারবে না কেউ, এড়িয়ে যেতে- নরক যন্ত্রণাটা!!

চাইলেই কেউ- নামতে পারে নীচে, নরক ও ভেদ করে!

ধৈর্য্যই সব;

চাইলে ছুঁতে শিখর খানা-

ভাঙতেই হবে- সকল বাধা, হাজার চেষ্টা করে।।

⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবি পরিচিতি-

“পিন্টু বেতাল”, পেশায় চাকুরীজীবী; মাতা, পিতা, কন্যা সহ- কবিতাতে প্রাণ উৎসর্গ, বিচরণ ওই সীমাবদ্ধ- ফেসবুক আর কিছু সাহিত্য অঙ্গনে, শুধাও যদি, বসতটা মোর- “হাওড়া” শহর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ নিবাসী। রাখতে ধরে- সময় কিম্বা অনুভূতি, একটু আধটু শব্দের জাল- বুনতে আমি, বেজায় ভালোবাসি।।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*