রণবীর
– মহব্বত আলী মন্টু
♦♦♦♦♦♦♦
আমি লড়াকু, রণবীর রণক্ষেত্রে,
গোলামির জিঞ্জির ভেঙে ঝান্ডা এনেছি একত্রে।
আমি অদম্য,দুর্জয়, মানিনা কোন পরাজয়,
আমি মহাপ্রলয় আম্পান,নাশি রণতরি,ডুবাই সাম্পান।
আমি বারুদ,আমি মশাল,জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিই সব জঞ্জাল,
আমি বেপরোয়া শত্রু হন্তা।
আমি বুলেট,ছেদি বক্ষ,আমার নিশানা হয়না ভ্রষ্ট,রোধি শত্রু লক্ষ্য,আমি দুর্ভেদ্য সবজান্তা।
আমি ঝর্ণা ধারা,বয়ে চলি নিরবদি গিরি হতে গিরিনদী,
আমি ঝঞ্ঝা, জলোচ্ছ্বাস,আছড়ে পড়ি সাগর থেকে সৈকতে অনাবিল চঞ্চলা উচ্ছাস।
আমি বজ্র,ধর্ষিতা রমনীর মনোবল,
করি চূরমার,পিষি ধর্ষক,ছেঁড়া পয়জারে পদতল।
আমি দুর্বলের শক্তি, নিপিড়কের আতঙ্ক ত্রাস,
আমি বিধ্বংশি কামান, স্কোয়ার্ড ক্ষেপনাস্ত্র পারমানবিক মারনাস্ত্র,বোমারু বিমান করি ক্রাস।
আমি অনন্ত যোদ্ধা,সমরশয্যা, উদিত রক্তিম সূ্র্য
আমি সাইক্লোন, দাবানল, দুর্বার অপ্রতিরোধ্য,
আমি অত্যাচারী,শোসক,কাউকে করিনা পরোয়া।
আমি মহামারী করোনা,দুর্নিতি,অনিয়ম মানিনা,
আমি নির্মল, স্বচ্ছ, পরিনা ময়ূর পুচ্ছ,
সাহসী, নীতিবান,গুনিকে জানাই স্বাগত,অনর্গল শত গুচ্ছ।
♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি-
মহব্বত আলী মন্টু: পিতা রিয়াজউদ্দীন মোল্যা,মাতা: ফাতেমা বেগম,১৯৬৭ সালের ১১ই জুন যশোর জেলার সদর উপজেলার চিত্রা নদীর দক্ষিন-পশ্চিম পাশে অবস্থিত লেবুতলা গ্রামে নিজ পৈত্রিক বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন এবং সেই গ্রামেই তার বেড়ে উঠা। তিনি লেবুতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে পঞ্চম শ্রেনী এবং লেবুতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এস এস সি পাশ করেন।শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয় হতে লেখাপড়া জীবন শেষ করেন।তার দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।”বৈষম্য”এবং”গাঁয়ের ইতিকথা”যৌথ কাব্যগ্রন্থ, “অভীযাত্রী” “ভালবাসার নীল ডায়েরী” “নির্বাচিত শত কবিতা” “সপ্নের প্রথম প্রহর” “সত্য বানী” “রুপসী বাংলাদেশ” “বেদনার অশ্রুজল ” বিষাদের নীলকন্ঠ” “বিদ্রোহী” “সাহিত্য সুহৃদ””শ্রাবনের অনুকাব্য”” ভালবাসার নীল রঙ””আমরা করবো জয়” ছোটগল্প “শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প”-২,বর্তমানে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যশোর এর সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে দ্বায়িত্বরত আছেন।