বরিষণে আনমনে

-মাজহারুল ইসলাম

♥♥♥♥♥♥♥

দখিনা মলয় প্রকাশে প্রণয় বিলিকেটে এলোকেশে

জানায় স্বীয়-মহিমায় আগমনী বারতা মিষ্ট আবেশে।

স্নিগ্ধ পরশে হৃদ হরষে এসেছে বহু পথ দিয়ে পাড়ি

কর্ণ কুহরে শোঁ-শোঁ সুরে, বাজে নূপুর নিক্কণ তার’ই।

বলে হেসে পড়েছি ঢুলে লালসে অলসে তব গায়

তব কেশের গন্ধে নাচি-গো মনানন্দে ঘুঙুর পরে পায়। 

আষাঢ়ে বরিষণ ঝমঝম আগমন বাটের আঙ্গিনায়

জানলার ফাঁকে হাতছানি দিয়ে ডাকে সে ইশারায়।

বলে হর্ষে প্রগাঢ় আবেশে এসো সখী সিক্ত হতে

সখ্য করি হাতে হাত ধরি যৌবনের পরতে পরতে।

মনে দেয় দোলা প্রাণ-খোলা কেমনে থাকি ঘরে বসে

বরষার সনে নেচে আনমনে সারা-গাঁ বেড়াবো চষে।

তাল পুকুরে ভর-দুপুরে ঝাঁপাঝাঁপি সখীদের সনে

ভিজা বসনে বর্ষার সনে করবো খেলা আপন-মনে।

রাখালের কাছে বাহানা মিছে, দিতে পেড়ে কদম ফুল

রাখাল বালক চেয়ে অপলক ভাবে, একি সত্যি না ভুল।

আবদারে সে-যে পেড়ে দিয়ে বলে, প্রথম কদম ফুল

একি মোহ! মনে বিদ্রোহ, পদ-যুগল নড়েনা একচুল!

রাখালের আঁখি বাণ, হরে মন-প্রাণ উঠে তনু দোলে

ঝড়োবেগে প্রেমানুরাগে উদীত হয় বাসনা কোলে।

মাঠের রাখাল বসে কদমের ডাল, বাজায় মোহন বাঁশি

বাঁশরির সুর পৌঁছে অন্তপুর জলের ছলে ছুটে আসি।

বলি ওহে রাখাল তুমি বেখেয়াল, তব বাঁশির সুর

হরণ করে মোরে, থাকতে নারি ঘরে ঐ সুর সুমধুর!

অবলারে উতলা করে, গৃহ কোণে নীরবে জ্বলি

সবার অগোচরে আসি উড়ে, গাগরি কাঁখে চলি।

না পারি সইতে না-পারি কইতে, বুকে দহন জ্বালা

করেছো চিত্ত হরণ উন্মাদ বরণ, ওহে নিঠুর কালা।

তব বাঁশি করেছে উদাসী তাই-তো ছুটে আসি উড়ে

মিনতি ভরা আঁখি, সঙ্গের সাথী করে লও মোরে?

♥♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

মাজহারুল ইসলাম,পিতা মৃত আব্দুল জহুর খান, মাতা মৃত হালিমা খাতুন, গোহাইল কান্দি ময়মনসিংহ ২০২১ বই মেলায় কবির প্রকাশিত কয়েকটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ। ১-কবিতাঞ্জলি ২০২১ ,২-ঝোঁক ২০২১, ৩-কাব্য সৃষ্টির পাতায় পাতায় ২০২১, ৪-স্বপ্নের সোহাগী ২০২১, ৫-মায়াবী যুগল চোখ ২০২১, ৬-নির্জন কাব্য নিকেতন ২০২১

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*