স্বপ্নের বাংলাদেশ
-নিত্যানন্দ বিশ্বাস
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি মম বাংলাদেশ
আঁকা বাঁকা নদী,পাখির মিষ্টি মধুর কলরবে মুখরিত এ দেশ।
বাংলাদেশের সবুজ শ্যামল গ্রামগুলোর দৃশ্য নয়নাভিরাম
পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা প্রকৃতির নৈর্সগিক দান পল্লি গ্রাম।
দোয়েল,কোয়েল,পাপিয়া,বউ কথা কও,চোখ গেল প্রভৃতি পাখি
নীল আকাশে ঝাঁক বেঁধে উড়ে কতো না রং বেরঙের পাখি।
নদীমাতৃক এদেশ,পদ্মা,মেঘনা,যমুনা তোমার আমার ঠিকানা
নদীর কুলকুল ধ্বনি,পাল তোলা নৌকা চলে কোন সে ঠিকানা।
দিঘির শান্ত জলে দল বেঁধে খেলা করে হংস বলাকা মনের মতো
নবীন কলাগাছের পাতা সারাক্ষণ বাতাসে দোলে পতাকার মতো।
গ্রীষ্মের বিদায় লগ্নে,মল বাজিয়ে আসে রিমঝিম বর্ষা বালা
বর্ষার অবিরাম ধারায় ভরে যায় বাংলার খাল-বিল,নদী-নালা।
লতা-পাতা-গাছ,ধান আর পাটগাছ সজীবতা পায় ফিরে
বিলে শাপলা,মাখনা,পদ্ম,বনে কদম,কেয়া,জুঁই ফুল রয় ঘিরে।
শরতের পূর্ণিমা রাত এবং শারদীয় শশীর সৌন্দর্য কিংবদন্তীর মত
জোছ্না রাতের স্নিগ্ধতা,ফুলের সৌন্দর্য নিয়ে লিখিত কাব্য শত শত।
হেমন্তে নতুন ধানের নবান্ন উৎসবে মুখরিত স্বপ্নের বাংলায়
ঘন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে শীত বুড়ির আগমন এ বাংলায়।
ফুলের সমারোহ,কোকিলের কুহুতান ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের আদেশ
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না ভবে সে যে স্বপ্নের বাংলাদেশ।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি-
আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার আস্করে ১৯৬৯ সালে পহেলা মে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম নিতাই ভাংরা। ছন্দবদ্ধ, চিত্রময়তা, অক্ষর বিন্যাস ও শব্দের প্রয়োগ কুশলতা তাঁর কবিতার বৈশিষ্ট্য। সর্বাধুনিক ছন্দ অক্ষরবৃত্ত ও সনেট তাঁর কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, দেশপ্রেম ও মানবীয় প্রেম প্রস্ফুটিত তাঁর লিখনে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধ ও শুভবোধের অসাধরণ এক কবি নিত্যানন্দ বিশ্বাস।