অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যাবে

-নুপুর বিশ্বাস

♥♥♥♥♥♥♥

আচ্ছা বলতো–

তুমি কি হঠাৎ করে –

খুব কষ্ট পাও ?

আমারই মতো?

হঠাৎ করে একা হয়ে যাও,

কোলাহলের মাঝে?

নিজের অজান্তেই পৌঁছে যাও,

মন কেমনের দেশে?

আচমকা কেউ ভেতর থেকে –

ধুম্ করে বলে ওঠে—

হেথা নয়,হেথা নয়,

চল যাই -অন্য কোথাও,

অন্য কোনখানে ৷

এমনই যদি হয় —

সামলে নিও,

ঠিক আমারই মত ,

শুধু বিশ্বাসে চোখটা বন্ধ করো

ঠিকই তুমি ,

আমায় খুঁজে পাবে,

আমি আছি –

আছিতো,তোমারই ভিতর

তোমারই খুউব কাছে,

শুধু খুলতে ভুলো না

অনুভবের দুয়ার,

দেখে নিও,সত্যি বলছি

অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যাবে ৷

মনে করো–

কাঠফাঁটা চৈত্র,

কোন এক বিষন্ন ধূসর দিন,

কিছুতেই যেন বসছে না মন

আজকে কোন কাজে,

বিরক্তি সব উঠছে ভেসে

কপাল রেখার ভাঁজে,

একটু থেমো—

চোখটা বুজে,প্রাণভরে নিও

একটা লম্বা শ্বাস,

অনুভবে- ঠিক’ই

আমায় খুঁজে পাবে,

পরম যত্নে আঁচল দিয়ে

ঘামটা মুছে দেবো,

নরম ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায়

কষ্ট শুষে নেবো,

কঠিন নয় ,স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখো

অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যাবে ৷

আবার ধরো—

প্রচন্ড এক ঘনঘোর বর্ষায়

চারিদিকে আঁধার করে

ঝরছে বারিধারা,

বৃষ্টি ভেজা মাতাল গন্ধে

কেতকী-কদম ফুল,

ভেসে আসা সোঁদা মাটির

নেশা নেশা বুনো গন্ধ,

দ্রিমিদ্রিমি তালে বাজছে কোথাও

মন কেমনের সুর,

দেখবে তখন —

তোমার জন্য না হয় হবো

একটা ব্যথার গান ,

রবীন্দ্রসঙ্গীত হয়ে দেখো

জুড়াব তোমার প্রাণ,

একটু ছুঁয়ে —

তোমায় ভালবেসে,

আমি জানি,

জানিতো-

অসম্ভবও সম্ভব হয়ে যায়

ভালবাসার দেশে ৷

হয়তো আবার–

কোন এক ,

জোৎস্না স্নাত রাতে

বুঝছো না তুমি ,

হচ্ছেটা কি–

একলা কেন লাগে?

জোৎস্না মায়ার আবছা আলোয়

চোখটা কাকে খোঁজে ?

এমনই যদি হয়—

বিলম্ব নয়,

জানলা খুলে দিতে,

দেখে নিও পূর্ণ শশীর

স্নিগ্ধ আলোর মত

আছড়ে পড়বো তোমার বুকে

তোমার আদর হয়ে ৷

আলতো হাতে সরিয়ে দেবো

কষ্ট ছিল যত,

চুম্বন রেখা এঁকে দেবো

নিদ্রাহীন চোখে ,

এক নিমিষেই

সব ক্লান্তি– হাওয়া !

শান্তিতে‌ পড়বে ঢলে

নিদ্রা দেবীর কোলে,

স্বপ্নপরী বুলিয়ে দেবে

যাদুর কাঠিখানি,

মুহূর্তেই পৌঁছে যাবে

সব পেয়েছির দেশে,

তিন সত্যি —

মিলিয়ে নিও

অসম্ভবও সম্ভব করে নেবো

আমরা ভালবেসে ৷

♥♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

আমি নুপুর বিশ্বাস,ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক। ১৯৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর খালিশপুর খুলনার “পোর্ট কলোনিতে” আমার জন্ম। পিতা “হাজারী লাল বিশ্বাস” এবং মাতা “সুধারানী বিশ্বাস”-এর সর্বকনিষ্ঠা কন্যা আমি। সাহিত্য বরাবরই আমাকে ভীষণভাবে আপ্লুত করেছে। জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে এসে তাই আজ খণ্ডকালীন অবসরে কবিতার পাতায় নিজের মনের কথা লিখি,অনুভূতির মহাসমুদ্রে অবগাহনে লিপ্ত হই।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*