সাবধান! পৃথিবীতে টাক পড়ছে

-আবুল হাসমত আলী

⊗⊗⊗⊗

মাথায় টাক থাকলে নাকি টাকা আসে,

অথবা টাকে নাকি ভীষণ বুদ্ধি থাকে ।

এগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই তাই মিথ্যা,

তবু কিছু মানুষ ছাড়ে না এসব আলোচনা ।

আসলে টাক পড়া বংশগত একটা রোগ,

যার টাক পড়ে তাকে সহ্য করতে হয় দুর্ভোগ ।

জিনতত্ত্বের জনক বিজ্ঞানী গ্ৰেগর জোহান মেন্ডেল,

তাঁর হাত ধরে এ বিষয়ে পরে আবিষ্কার হয় অঢেল ।

আমার শান্ত জ্যাঠা মশাইয়ের মাথাভর্তি টাক,

তাঁর আদরের ছোট্ট নাতি, তাঁর মাথায় বাজায় ঢাক ।

আমার জ্যাঠামশাই যেমন শান্ত তেমনি জ্ঞানী,

তাই জেঠুর কাছে আমরা প্রায়ই গল্প শুনি ।

জেঠু বলেন, আগে আমার মাথা ভর্তি চুল ছিল,

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কি করে তা উধাও হলো ।

আমাদের এই বাসযোগ্য পৃথিবীর সেই একই দশা,

আগে পৃথিবী ছিল সবুজ গাছপালায় ঠাসা ।

এখন পৃথিবীতে টাক পরছে খুব দ্রুত‌ গতিতে,

আগে টাক ছিল সাহারা মরুভূমিতে, এখন সর্বদিকে ।

আসলে পৃথিবীর চুলের রং কালো নয়, সবুজ,

পার্থিব সবুজ চুলই তো মানুষের রক্ষাকবচ ।

নির্বোধ মানবের দল সেই চুল ছেদনে সদা ব্যস্ত,

তাই সুন্দর পৃথিবীতে টাক পরছে খুব দ্রুত ।

টাকের অত্যধিক প্রসারণে পৃথিবী হচ্ছে উত্তপ্ত,

তবু নির্বোধের দল এখনও নয় অনুতপ্ত ।

আর একদল মঙ্গলের দিকে চেয়ে নিঃশ্বাস ফেলে,

আর গবেষণা করে, কখন মঙ্গলে যাবে সদলবলে ।

⊗⊗⊗⊗

কবি পরিচিতি: আবুল হাসমত আলী পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামে ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা সেখ আতর আলী একজন সাধারণ কৃষিজীবী । অত্যন্ত অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে হাসমত আলী পড়াশোনা করেছেন ও বড় হয়েছেন । এখন উনি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক । উনি প্রকৃতি ভালোবাসেন, প্রকৃতির কোলে মানুষ ভালোবাসেন । উনি এমন একটা স্বচ্ছ সমাজ ব্যবস্থা চান যেখানে হিংসে মারামারি বা কলহ থাকবে না মানুষের মধ্যে কেবল সম্প্রীতি বিরাজ করবে ।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*