প্রাক্তন প্রত্যার্বতন
-রত্না রানী হোড়
♠♠♠♠♠♠
অদৃশ্য ভাবে আমি তো এখন বন্ধী,
চাইলেই কি আর হবে তোমার সাথে সন্ধী।
বহু ডেকেছিলাম তখন দেওনি তো সাড়া,
তবে এই অবেলায় কেন করছো ঈশারা।
আমি এখন ভুলেগিছি পুরনো সবকিছু,
এখন অকারণ আর ডেকো না,ছাড়ো পিছু।
তখন ডুবেছিলাম বিরহের গভীর সুমুদ্দুর।
সব স্মৃতি মনেরেখে এখন আকাশ আমার রৌদ্দুর।
এখন কেন কথা বলার এত করছো আয়োজন।
তখন তো ছিলাম না, তোমার কোন প্রয়োজন।।
সব মিথ্যা ছল কেন করছো এখন আবরণ?
ভুলেছি ভুলেছি বহু কষ্টে, বলবো না তার বিবরণ।
যাও,চলে যাও, পিছু ফিরে আর কখনো না চাও।
স্মৃতি তোমায় নিয়ে,আমার পুরো বিশ্ব তোমার স্মৃতি ঘিরে।
♠♠♠♠♠♠
কবি পরিচিতি-
রত্না রানী হোড়, ১৯৯৯ সালে ২২ নবেম্বর ফরিদপুর জেলার ধূলজোড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ জয়পাশা সৈয়দ ফজলুল হক একাডেমী থেকে ১৬ সালে SSC.নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ১৮ সালে HSC.পাশ করেন। তারপর নাসিং কলেজে ভর্তি হন। ১৪ দিন পর তিনি নাসিং পড়া ছেড়ে , সিদ্ধান্ত নেন, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুর সমাজবিঙ্গান ডিপার্টমেন্টে এখন অধ্যায়নরত আছেন। তিনি ধর্মে বিশ্বাসী এবং শ্রদ্ধাশীল। তিনি মনে করেন রাধা কৃষ্ণই তার একমাএ সম্পত্তি, তিনি প্রকৃতি প্রেমিক, কৃষ্ণচূঁড়া ফুল তার অতী প্রিয়। তিনি গান করতেও পছন্দ করেন,ধর্ম সম্পর্কেও তিনি বহু কবিতা লিখেছেন। মহাভারত নিয়ে তার ১৫ টি কবিতা আছে,তাছাড়া সমাজ,দেশ, যুদ্ধ, অবহেলিত মানুষ সম্পর্কে তার অনেক লেখা আছে, নাটক, উপন্যাস,গল্প লিখেছেন। ছোট বেলা থেকেই লেখা শুরু করেন, জীবনে ছোট ছোট বাধাঁ বিপত্তি কাটিয়ে তিনি প্রতিভার দিকে এগিয়ে যান।