নিঃশব্দে নীরবে
-নুপুর বিশ্বাস
♥♥♥♥♥♥
কখনো কি বুঝতে চেয়েছো নিরিবিলিতে বয়ে চলা নদীর গোপন ভাষা?
অথবা নিস্তব্ধ পাহাড়ের গায়ে কান পেতে শুনেছো কি ব্যথাতুরের স্থির বিরহ কাব্য ?
দেখেছ কি নিশ্চুপে,নিঃশব্দে ঝরে পড়া শুভ্র তুষার কুচির মোহনীয় অপরূপ শোভা?
খুঁজেছো কি খাঁ খাঁ দুপুরে ঝাঁ ঝাঁ রোদ্দুরে মরুভূমির মরীচিকায় লুকানো রহস্য?
খুব ভোরে দেখেছ কি স্থির নীল জলরাশিতে আঁকা গভীর সাগর তলের দুঃখ?
বুঝেছো কি নির্জন আঁকাবাঁকা বনপথের লুকায়িত অজস্র গোপন রহস্য ধাঁধা?
উপলব্ধি করেছো কি গভীর ক্ষতের উপর প্রলেপ দানকারী সময়ের অসীম ক্ষমতা?
পড়েছ কি ইতিহাসের পাতায় পাতায় নীরবে আটকে থাকা হাজারো কাহিনী?
অনুভবে জেনেছো কি অভিমানী নীরব ভালোবাসার
আবেগময় সীমাহীন গভীরতা?
আমি কিন্তু নীরবে-নিভৃতে একাকী বসে আনমনে ভাবি আর ভাবতেই থাকি,
তারপর একসময়-
মনের অজান্তেই ভাবনার অতলে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাই কোন এক নিস্তব্ধ,নির্ঘুম রাতের অতন্ত্র প্রহরে,
অতঃপর বিলীন হই-
গভীর চিন্তার তলহীন কৃষ্ণগহ্বরে,
অনন্ত অসীমে-
নিঃশব্দে,নীরবে।
♥♥♥♥♥♥
কবি পরিচিতি-
নুপুর বিশ্বাস। পিতা হাজারী লাল বিশ্বাস এবং মাতা সুধা রানী বিশ্বাসের সর্ব কনিষ্ঠা কন্যা। পিতৃ নিবাস-মনিরামপুর,যশোর। পেশা-ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক, নেশা- সাহিত্য চর্চা। গান শুনতে ভীষণ ভালোবাসি।নাচ,গান,কবিতা সর্বক্ষেত্রে একটু আধটু বিচরণ আছে। সম্প্রতি অবসরে মনের কথাগুলো একটু আধটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করছি মাত্র।ব্যাকরণগত ভাবে সেগুলো কবিতা হচ্ছে কি হচ্ছে না সে বিচারে নাই বা গেলাম,লিখতে ভালো লাগছে,পাঠক অনুপ্রাণিত করছে ।এই খুশিটাই অনেক পাওয়া,বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাই বলবো-“কবিতায় বাঁচি”।