হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ
-ভদ্রাবতী বিশ্বাস
♦♦♦♦♦♦♦
কালের আবর্তনে ছায়া বীথিতলে
এসেছিলে সবুজ ভুবনে,
সৃষ্টি তব ধ্রুবতারাসম
পূজিত হৃদয়ে যতনে।
মনব হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ
যুগান্তরের দিবাকর,
নিশিদিন সেই কিরণ প্রভা
ভরেছে বিশ্ব ভান্ডার।
বিধাতার দূত বাঁশরী তুমি
বাঙালীর জীবন দেবতা,
মহাজিজ্ঞাসার পূজারী
লিখেছ প্রেমের কবিতা।
শত বর্ষ আগে এখানে
পেতেছিলে সংসার মেলা,
খেলেছিলে প্রেমের তৃষ্ণায়
কাব্যগীতি খেলা।
কাব্যে তুমি কল্পোলোকের
মর্ম স্পর্শী মন,
ছোট গল্পে ব্যাথাহত
আশার অনুক্ষন।
প্রবন্ধ সাহিত্যে বিশ্বর কথা
হৃদয় অনুপ্রান,
গীতাঞ্জলীর গীতরস ধারায়
অসীমে করেছ স্নান।
নাটকের বেলায় নট-নটীকে
সুখ দুঃখের মাঝে,
উপন্যাসের উপাস্য হৃদয়
বিরহ বিধুর লাজে।
গানের আসরে সুরের লহরী অনন্ত ঝংকার মন
ভ্রমন কহিনীর চিঠির পাতায়
দিয়ে গেছ সেই ধন।
তুমি মহান সৃষ্টিতে অমর
অনন্ত বিশ্ব পরে,
মানব হৃদয়ের পরতে পরতে
বহমান রক্তে শিরে।
অমর তোমার অমৃত সুধা
রেখে গেছ মোদের তরে,
মৃত্যুঞ্জয়ী মহাগুরু তুমি
ঘুমিয়েছ অসীম ঘরে।
অদ্বীতিয় সৃষ্টি বিধাতার
শত বর্ষ আগে,
যুগ যুগ রবে বিশ্ব হৃদয়ে
সবার অগ্রভাগে।
♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি: নাম: ভদ্রাবতী বিশ্বাস। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর আমার জন্ম। পিতা: স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা: স্বর্গীয় নীলিমা রানী বিশ্বাস। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে বি.এস. সি(সম্মান) এম এস সি(ভৃগোল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করি।চাকুরী জীবনে প্রথমে টাওরা হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করি ।কিছুদিন পর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই।পর পরই কেশবপুর মহিলা কলেজে সুযোগ হয়।বর্তমানে আমি এখানে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছি।পাশাপাশি লেখালেখি করি।কবিতা লেখা আমার খুব পছন্দ।