অনুরাধা

-বর্ণ

♥♥♥♥♥♥

অনুরাধা ম্যাম আমাদের তেমন মোটে নন,

তোমরা সবাই, তারে নিয়ে, ভেবেছ যেমন।

আজকালকার দিনে বাপু কাণ্ড বোঝা দায়,

সকাল বেলার আপনি,রাতে তুমি হয়ে যায়।

আবার আমি বলছি খুলে, আমি এবং মিস,

আমরা কেবল একই সাথে,করি যে অফিস।

হাই,হ্যালো এইটুকু ছাড়া,নাই’ক অন্য কিছু,

কাজের টানেই যতটুকুন, ঘোরা পিছু পিছু।

প্রেম,পিরিতি,ভালোবাসা, যত রকম আবেগ,

সকল গেছে জলে ভেসে,সাথে নিয়ে সাবেক।

অনুরাধার সাথে আলাপ,ক’দিন হাতে গোনা,

অল্প কিছু হাই হ্যালো,আর অল্প জানাশোনা।

জানার মধ্যে তাও তা আমি,কতটা বা জানি,

এখনো সে সিঙ্গেল আছে, শোনা কানাকানি।

বাবা-মা কেউ এই দেশে নাই,থাকে দেরাদুনে,

নীল রঙ তার বড়ই প্রিয়, বার্থডে হলো জুনে।

একত্রিশে জুন সালটি হলো উনিশশত নব্বই,

ফ্লাট জুড়ে তার,সব ঘরেতে,রাখা যত,সব বই।

ভাজি ভুজি, খায়না মোটে,বই পড়া সখ তার,

মাঝে-মাঝে ছড়া লিখে, সখের লেখক আর,

একলা একা বেড়ায় ঘুরে, মোদের অনু মিস,

মাঝে মাঝে শাড়ি পড়ে, কামিজ ও থ্রিপিস।

শাড়ি পড়ে যখন ম্যাডাম,অফিস মুখে আসে,

সেদিন আমি ইচ্ছে করেই,উঠি না আর বাসে।

রিকশার ওপর চেপে বলি,রিকশাওয়ালাটাকে,

ঐযে,যে ম্যাম যাচ্ছে মামা,ফলো করো তাকে।

রিকশাওয়ালা মুচকি হেসে,বের করে সব দাঁত,

দূর থেকে বেশ, করে ফলো, হিসেব অনুপাত।

অফিসেতে সেই দিনই সব কলিগেরা মিলে,

ট্যাঁরা চোখে চেয়ে দেখে,কিই যেন সকলে।

আমার ইচ্ছে করে তখন, বলি অনু শোনো,

কাল থেকে আর,পড়বে না’ক,শাড়িটি কক্ষনো।

মাঝে মাঝে সাধ করি ফের,অনুরাধা মিস কে,

ডিনার খেতে দাওয়াত করি,আধাআধি রিস্কে।

আমি এবং অনুরাধা, মুন লাইট এর নাইটে,

খানিক পরে ভাবি তারে,ডাকি কিসের রাইটে।

একে কি আর প্রণয় বলে!নিশ্চয় তা বলে না,

এই প্রণয়ের ঠেলাগাড়ি,একটি গজও চলেনা।

♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

রেদওয়ান আহমেদ। তিনি রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলা,কিশোরগঞ্জ থানায় ১৯৯৬ সালের ৮ই আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন।পিতা মোঃ রফিক উদ্দিন ও রানী বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।নিকটস্থ বিন্যাকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং বিন্যাকুড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন।২০১২ সালে এসএসসি পাশ করে পরবর্তীকালে রংপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন এবং একই সাথে রংপুর টাউনহলে অবস্থিত “অভিযাত্রিক” নামক সাহিত্য সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন।২০১৫ ইং সালে জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজশাহী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে অদ্যাবধি দেশের একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে কর্মরত আছেন।তার বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ এখনো করা হয়নি। মুলত ছোট গল্পের প্রতি ঝোঁক থাকলেও কবিতা,সনেট, ছড়া, উপন্যাস সহ সাহিত্যের সকল শাখার অবাধ বিচরণ রয়েছে। সাহিত্যে প্রেরণা দানকারী মাতা সমতুল্য মৃত লাবনী আক্তার,মৃত এম এ বাশার এবং ফারুক প্রধান প্রমুখ

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*