শতরঞ্জ
-শ্যামল কুমার মিশ্র
↔↔↔↔↔
উন্মুক্ত রণাঙ্গন
যুযুধান দুই রাজন
সাদায় আর কালোয় লড়াই
সার সার রণতরী অশ্ব গজ মন্ত্রিপারিষদ
প্রবল লড়াই শুরু হয়েছে
একে একে ভূপতিত মন্ত্রী সান্ত্রী
রক্তাক্ত ভূমি পরে লুটিয়ে পড়ে হাজারো সৈনিক
ক্ষমতার দম্ভের ইতিহাস রচিত হয়
রাজা কি শান্তি চেয়েছিল?
রক্তমাখা কুরুক্ষেত্রের মাটি কি শান্তি এনেছিল যুধিষ্ঠির প্রাণে?
চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল শত শত মৃত মানুষের মুখচ্ছবি
ক্লান্ত অবসন্ন ধর্মরাজ মুক্তি চেয়েছিল সখা কৃষ্ণ সকাশে
যুদ্ধ কোনদিন শান্তি দিতে পারেনি
ক্ষমতার দর্পে বলিয়ান রাজা বোঝে শুধু শতরঞ্জ..মৃত্যুর খেলা
চাপচাপ রক্ত ঝরে পড়ে শতরঞ্জ পরে
হিংসা-ক্ষমতা-আগ্রাসন– সৃষ্টি হয় নতুন সমীকরণ
আলেকজান্দ্রা,পুরু যেন স্বপ্ন মনে হয়
নীরব শ্মশানে আঁধার নামে
রাত জাগা পাখি শিস দিয়ে উড়ে যায়
যুদ্ধ পারে শান্তির দেশে ভালোবাসার দেশে…
↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি: জানি না এই কবি শব্দটি আমার মতো ‘অ-কবি’র সঙ্গে যায় কিনা তার ভার না হয় পাঠককুলের কাছেই থাক। শুধু এটুকুই বলতে পারি লেখা র আনন্দেই লিখে চলি। কখনো তা কবিতা, আবার কখনো অণুগল্প, প্রবন্ধ। আবার কখনো আপনমনে কবিতা পাঠে ও ডুবে যাই। সেই ছোটবেলায় স্কুলের দিনগুলোতে লেখায় হাতে খড়ি। জোনাকজ্বলা বিদ্যুৎহীন পূর্ব মেদিনীপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রাম। নাম জাহানাবাদ যেখানে আমার শৈশব ও কৈশোরে র দিন গুলো মিশে আছে। তারপর নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন যা আমার জীবনের এক নতুন দিকের বার্তা নিয়ে আসে। বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে পড়লেও সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চায় কখন ও ঘাটতি ঘটে নি। কলেজ জীবন শেষে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণরসায়ন ও বাংলা নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি “বিদ্যাসাগর রিসার্চ সেন্টার আয়োজিত” ‘বিদ্যাসাগর বিষয়ক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার। তারপর শিক্ষকতাকে ভালোবেসে ৩০ টা বছর কাটিয়ে দেওয়া। বর্তমানে কলকাতার একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাঝে আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক “দ্রোণাচার্য্য” পুরস্কার প্রাপ্তি। ছাত্রদের মধ্যেই প্রতিদিনই নতুন হয়ে উঠি। শিক্ষকতার অপরাহ্ণ বেলায় তাদের কথা ভেবে গড়ে তুলেছি “মনীষী চর্চা কেন্দ্র” যা সত্যিকারের মূল্যবোধে ও বিজ্ঞান ভিত্তিক মননে বিশ্বাসী। সাহিত্যের মাঝে খুঁজে পাই নিজেকে…