চোখ রাঙানি

-আবুল হাসমত আলী

¤¤¤¤¤¤

আকাশের চোখ রাঙানি দেয় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস,

মানুষের চোখ রাঙানি করে ক্ষমতার প্রকাশ।

গড়গড় আওয়াজ করে বিড়ালের চোখ রাঙানি,

বুঝিয়ে দিতে চায়, সে প্রকৃতই কত শক্তিশালী।

আইন দ্বারা সুশৃংখলভাবে চলতে সে অনভ্যস্ত,

তাই সে যেকোন কাজে, চোখ রাঙানি দিতে অভ্যস্ত।

কুত্তা, হায়না, সিংহ বা ব্যাঘ্র যখন রেগে যায়,

তখন স্বাভাবিকভাবে তাদের হিংস্র চক্ষু রাঙা হয়।

পশু কুল থেকে ধার করেছি আমরা অনেক কিছু,

সত্যি আমরা মানুষেরা দৌড়াচ্ছি পশুদের পিছু।

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন অনেক শংকর প্রজাতি,

শস্য, ধান, গম, গবাদি পশু-পাখি ও ফল-ফলাদি।

এইসব সংকর প্রজাতি গুলির ফলন খুব উন্নত,

পশুদের চোখ রাঙানি নিয়ে মানুষও সংকর প্রজাতির মত।

মানুষের নিজেদের প্রতি বর্তমানে নাই আস্থা,

পশুদের চোখ রাঙানি নিয়ে হতে চাইছে জগৎ পিতা।

চার্লি চ্যাপলিন জয় করেছিলেন পৃথিবীকে,

কৌতুক ও অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষকে হাসিয়ে।

মাদার টেরিজা ছিলেন একজন মহান মানবসেবী,

তাঁর মহৎ গুণে, পদানত হয়েছিল সারা বিশ্ববাসী।

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহান মানবতাবাদী কবি,

তাঁকে কেন্দ্র করে আত্মীয় আমরা বিশ্ববাসী।

অতীতের অত্যাচারীদের পাশবিক চোখ রাঙানি,

আদেও হতে পারে নাই এই মনুষ্য সমাজে স্থায়ী।

ভালোবাসার দ্বারা এই ভুবনে যা-কিছু সৃজন,

পৃথিবীকে সভ্যতার পথে এগিয়ে দিয়েছে বহু যোজন।

¤¤¤¤¤¤

কবি পরিচিতি:

আমি, আবুল হাসমত আলী, পিতা- সেখ আতর আলী, মাতা- ইন্নান্নেসা বিবি, একজন মানবপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার অন্তর্গত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামে ১৯৭৪ সালে আমার জন্ম। আমার পিতা একজন ক্ষুদ্র কৃষিজীবী মানুষ ।পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় আমার পিতা- মাতা আমাকে খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন, তার জন্য পিতা-মাতার কাছে আমি অশেষ কৃতজ্ঞ। বর্তমানে আমি গৃহশিক্ষকের কর্ম করি ও কোন রকমে জীবন অতিবাহিত করি। আমার পড়াশোনা এম এ করতে করতে ইতি হয়ে গেছে নানা প্রতিবন্ধকতার জন্য। সমাজে যেভাবে মনুষ্যত্ব পদদলিত হচ্ছে, মূল্যবোধ নষ্ট হচ্ছে, নারী সমাজের প্রতি অহরহ অত্যাচার চলছে ইত্যাদি অনৈতিক বিষয় গুলির বিরুদ্ধে আমি একটু আধটু লেখালেখি করি। বর্তমানে আমার অত্যন্ত সুহৃদ প্রিয় পাঠকগণ আমাকে এ ব্যাপারে সর্বদা উৎসাহ প্রদান করছেন, তার জন্য তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সর্বদা। সেইসঙ্গে কবিতার পাতা পরিবারের কাছে আমার লেখনি তুলে ধরার জন্য আমি ভীষণভাবে ঋণী।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*