জীবনের বাঁধা

-ভদ্রাবতী বিশ্বাস

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

জীবন রথে চলার পথ

নয়তো ফুল শয্যা,

পদে পদে আসে বাঁধা

মাড়াতে কাঁপে মজ্জা।

আশা,ভরসা,ভালবাসায়

বাধে সবে ঘর,

বিপদ আপদ জরা মৃত্যু

হৃদয় করে ভার।

আসুক যত বিঘ্ন বাঁধা

ধৈর্য্য ধরতে হয়,

বাঁধাগুলো ধাপে ধাপে

নতুন শিক্ষা দেয়।

বাস্তব জীবনে প্রতিটি সমস্যা

খোলে আলোর দ্বার,

জ্ঞানালোকে আলোকিত

জীবন সংসার।

চড়াই উৎরাই পার করা

মোটেও সহজ নয়,

বিবেক বুদ্ধি ধৈর্য্যের সাথে

মোকাবেলা করতে হয়।

মায়ায় বাঁধা সমাজ সংসার

সুখ দুঃখের আঁধার,

বোঝা পড়ার একটু অমিল

জ্বলে পুড়ে ছারখার।

কল্যানমূখী ত্যাগি মনোভাব

মানবিকতার মন্ত্র,

পাহাড় সমান বাঁধা কাটে

ভালবাসার অস্ত্র।

⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃

কবি পরিচিতি-

ভদ্রাবতী বিশ্বাস। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর আমার জন্ম। পিতা: স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা: স্বর্গীয় নীলিমা রানী বিশ্বাস। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে বি.এস. সি(সম্মান) এম এস সি(ভৃগোল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করি।চাকুরী জীবনে প্রথমে টাওরা হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করি ।কিছুদিন পর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই।পর পরই কেশবপুর মহিলা কলেজে সুযোগ হয়।বর্তমানে আমি এখানে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছি।পাশাপাশি লেখালেখি করি।কবিতা লেখা আমার খুব পছন্দ।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*