রাজার ফন্দি
-আবুল হাসমত আলী
⇔⇔⇔⇔⇔
ছাগলরা সব মাথামোটা,
বোঝেনা চালাকির কথা।
তারা খায় ঘাস পাতা ,
মনটি তাদের সরল সাদা।
স্বভাব সিং উঁচিয়ে ঝগড়া করা,
একে অপরকে গুঁতিয়ে মারা।
এই নিয়ে প্রত্যহ ঝামেলা,
দরকার এর বিহীত করা।
তাই ছাগলরা সব একত্রে,
এক খাসা পরিকল্পনা করে।
তারা দাড়িওয়ালা ছাগলকে,
দিল রাজার মুকুট পরিয়ে।
রাজার স্বর্ণ মুকুট পরে,
সে সকলকে আদেশ করে।
“শুনবি আমার কথা সকলে,
বাঘ আছে, মাঠে যাবিনে”।
ছাগলরা করে মুখ তাকাতাকি,
এভাবে তাদের চলবে কি ?
“চিন্তা নাই”, বলে মুকুটধারী,
“ব্যবস্থা করছি তাড়াতাড়ি।
কেউ করবি না বাড়াবাড়ি,
মুষ্টি খাবারে বেঁচে থাকবি।
এমনি করে বাঘ থেকে বাঁচবি,
বাঘ উচ্ছেদ হলে মাঠে চড়বি।”
ছাগলরা সব হাঁদাভোঁদা,
নিজেদের প্রতি নেই আস্থা।
তাদের স্বভাব আড্ডা দেওয়া,
লাইন দিয়ে খাদ্য নেওয়া।
তার উপর আবার ঘোষণা,
বাড়তি পাবে ছাগলদের গিন্নিরা।
তাইতো ছাগলদের ভাবখানা,
আহ্লাদে যেন তারা আটখানা।
কিন্তু শোনা যায় কান পাতলে,
বিচক্ষণ ছাগল কি বলে।
তারা তুষ্ট নয় অনুদানে,
তারা পেতে চায় সসম্মানে।
খেতে চায় মাঠে চড়ে,
তারা ভীত নয় বাঘের ভয়ে।
বিচক্ষণদের ভালো, কর্ম পেলে,
পায় যদি তারা মাসিক মাইনে।
মুকুটধাড়ী ছাগল হয় চিন্তিত,
সম্মান হতে পারে লুণ্ঠিত।
পদক্ষেপ নিতে হবে সুচিন্তিত,
থাকতে হবে প্রানবন্ত।
না হলে ছাগলেরা হবে ক্ষিপ্ত,
তখন টিকে থাকা শক্ত।
শীঘ্রই ওদের করতে হবে শান্ত,
মোড় ঘোরাতে তাই আমি ব্যস্ত।
চড়াট ক্ষেত্র তৈরি করতে,
মুকুটধারীর ঘুম ছোটে।
তাই সে যায় বিকল্পতে,
ছাগলদের উস্কে দেয় ঝামেলাতে।
কিংবা কারোর দুর্নীতির অস্ত্র ছাড়ে,
ছাগলরা তা নিয়ে চর্চা করে।
ছাগলরা তাদের চালে পরে,
তা দেখে মুকুটধারী হাস্য করে।
এভাবে যায় দিন পেরিয়ে,
রাজার এতে আয়ু বাড়ে।
⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি:
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানায় অবস্থিত এরুয়ার গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমার জন্ম হয়েছিল ১৯৭৪ সালে।পিতা সেখ আতর আলি,মাতা ইন্নান্নেসা বিবি। আমি মানব ধর্মে বিশ্বাসী। কোন মানুষ যেন অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। প্রত্যেকটা মানুষ যাতে মানুষের মর্যাদা লাভ করে। মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায়। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে আমি এই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ভালোবাসি। কাব্য কবিতা সাহিত্য আমার ভীষণ পছন্দ। আমি চাই একটু আধটু পড়াশোনা করি ও সেইসঙ্গে লেখালেখিও করতে ভালোবাসি।