ভারত মাতার বীর সন্তান বিবেকানন্দ
-সুমিত রায়
→→→→
মমতাময়ী ভুবনেশ্বরী দেবীর গর্ভ জাত সন্তান,
বিশ্বখ্যাত আইনজীবী বিশ্বনাথ দত্ত পিতার নাম।
শৈশবে বালক মনে ছিল অদম্য সাহস ও শক্তি,
বাবা মা কে করতেন তিনি অগাধ অসীম ভক্তি।
দত্ত পুকুরে জন্মস্থান তাঁর ডাক নাম ছিল বিলে,
তাদের দলের সর্দার বলে ডাকতো ছেলে পুলে।
ভূত, পেত্নী, ব্রহ্মদৈত্য ভয় করতো না নরেন,
ছোট বেলা থেকেই তিনি অনেক সাহসী ছিলেন।
ছেলে বেলার দুষ্টুমি টা যখন হলো বন্ধ,
তখন তিনি নরেন থেকে হলেন বিবেকানন্দ।
কোন দিন ই তিনি মানতেন না জাতি এবং জাতিভেদ,
জাত ধর্ম সমাজ থেকে করতে চেয়েছিলেন উচ্ছেদ।
হুঁকো খেয়ে দেখেছিলেন জাত যায় কিভাবে ওতে,
ঈশ্বর কি হয় কখনও হিন্দু বা মুসলমান জাতে?
ধর্ম নিয়ে চর্চা শুরু করেন দর্শন বিজ্ঞানে,
যুক্তি দিয়ে তর্ক করতেন ধর্মের সম্মানে।
ভোগের পরিবর্তে ত্যাগের দীক্ষা ই করেছিলেন গ্রহন,
বিশ্বের দরবারে ভারতবাসীর কথা দায়িত্ব ভার বহন।
গরীব অসহায় মানুষের জন্য সদাই কাঁদতো প্রাণ,
মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করতেন আপ্রাণ।
ওঠো সবে জাগ্রত হও মানবতার বাণী মুখে,
সকল জীব কে ভালোবেসে দাঁড়াও সবার দুখে।
সম্মুখে তে তোমা ছাড়ি কোথা তুমি খুঁজিছ ঈশ্বর,
জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
তখন থেকেই লাগলেন তিনি মানুষের সেবায়,
হটাৎ করে ডাক পেলেন আমেরিকার বিশ্ব ধর্ম সভায়।
আঠারো শ তিরানব্বই সালে শিকাগো শহরে,
একজন ভারতীয় হয়ে সকলের নজর কাড়ে।
বিশ্ব মহা ধর্ম সম্মেলনে বাঙালির বক্তব্য ধরলেন তুলে,
নির্ধারিত পাঁচ মিনিটের সময় সীমা সকলেই গেলেন ভুলে।
বিশ্ব সম্মেলনে বক্তব্য রেখে তিনিই হলেন সেরা,
ভারত মাতার বীর সন্তান কে স্মরণ করি আমরা।
বিবেকানন্দ ছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য,
গুরু দেবের আশির্বাদে ওনাকে চিনলো গোটা বিশ্ব।
বীর স্বামীজি গুরুদেবের নামে তৈরী করেন মিশন,
গরীব অসহায় মানুষের জন্য খাবার এবং বসন।
এতো বছর পরও আমরা করি ওনাকে স্মরণ,
প্রণাম করে পুষ্পে ভরাই ওনার দুটি চরণ।
→→→→
কবি পরিচিতি-
সুমিত রায়, গ্রাম+পোস্ট- দিগনগর, জেলা- পূর্ব বর্ধমান। পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল শিক্ষক, স্কুলের কাজকর্ম নিয়েই থাকি, অবসর সময়ে একটু লেখালিখি করি।