এবার পুজোয়
-রঞ্জন ঘোষ
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
পুজোর নেই হাতে আর বেশি দিন দেরি
তবু মনটা কেমন যেন হয়ে আছে ভারী,
আনন্দের রেশটুকু তাই নেই কারো মনে
কি হবে ভেবে দুশ্চিন্তা জাগে মনের কোণে।
আসবে নাকি শুনেছি আবার সেই তৃতীয় ঢেউ
সেসব কথা চিন্তা করে বিভোর আছে কেউ,
আর কি নেই তবে কারো কোন নিস্তার,
দিনে দিনে দেখি চারিদিকে হচ্ছে এর বিস্তার।
পুজোর আনন্দতে তাই বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ
নতুন পোশাক পরে ঘরে বসে নাও পূজার আনন্দ।
ঠাকুর দেখো টিভির পর্দায় সবাই মিলে ঘরে বসে,
এমন ভাবেই থাকতে হবে জানিনা কার দোষে?
ভগবানকে যতোই ডাকো পাবে নাকো তাঁর সাড়া
তিনি এখন ব্যস্ত ভীষন তাঁর আছে কাজের তারা।
শিশুদের কথা ভাবলেই সবার চোখে আসে জল,
তাদের কষ্ট দেখে বাবা মায়ের চোখ করে ছল ছল।
মিনতি জানিয়ে সবাই বলে, দয়া করো ভগবান
নির্মম এতো হয়ো নাকো তুমি বাচাও সবার প্রাণ,
আর কতদিন এমন করে তুমি শাস্তি দেবে বলো,
এবার তুমি ক্ষমা করে জ্বালাও মুক্তির আলো।
পূজা পূজা পূজা সব যাচ্ছে চলে জলে
সকল আনন্দ তাই সব গেলো রসাতলে।
তবু লোকে ভাবছে বসে হয় যদি মিরাকেল,
ঠাকুরের থানে গিয়ে আমরা ভাঙবো নারকেল।
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতি-
আমি রঞ্জন ঘোষ দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় থাকি। কবিতা আমার প্রথম প্রেম। ছোটবেলা থেকেই কবিতা লেখা শুরু। এ বছরে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাব্বিশটা কবিতা প্রকাশিত হচ্ছে আর এককভাবে “প্রেমের ঝর্ণাধারা”নামে একটি কবিতার বই যুথিকা প্রকাশনা কলেজস্ট্রিট থেকে প্রকাশিত হচ্ছে। আমি বিভিন্ন সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং আমি প্রতিদিনই লেখালেখি করি।