যুগোত্তীর্ণ মহানায়ক
-গাজী সাইদুর রহমান
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
ওরা ঘৃণ্য! ওরা জঘন্য!
ওরা স্বার্থান্ধ পাপিষ্ঠের দল!
হে বঙ্গবন্ধু, তোমার বুকে গুলি চালাতে
ওরা সময় নিল না;
ওরা তোমায় বাঁচতে দিল না !
এই সবুজ অরণ্য,পাখ পাখালির মেলা;
মুক্ত বেণীর তীর্থ বরদ এই বাংলায়
তোমার শেষ আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন
ওরা করতে দিল না,
হে বঙ্গপিতা,ওরা তোমায় বাঁচতে দিল না!
নরম পলির পরশে,পুলকে সতত
শিহরিত ছিল তব হৃদ স্পন্দন;
উপেক্ষিতের সাথে ছিল নিঃস্বার্থ
ভালোবাসার নিবিড় বন্ধন তোমার!
দেশ মাতৃকার অপত্য নাড়িরটান,
প্রেম তানে গাওয়া তোমার স্বাধীনতার গানের শেষ স্তবক ওরা গাইতে দিল না,
হে স্বাধীনতার নিপুণ কারিগর, হে মহাকালের মহানায়ক,
ওরা তোমায় বাঁচতে দিল না।
ছিঁড়ে শোষণের নাগপাশ এনে দিলে স্বাধীনতা বারংবার শোষিত এই বাংলায়;
এনে দিলে মাথা উঁচু করে কথা বলার উন্মুক্ত প্রেক্ষিতঃ
এনে দিলে সব হারানো বীরাঙ্গনার যথার্থ সম্মান,
ম্রিয়মান সব হৃদয়ে এনে দিলে
পূর্ণ প্রাণের জোয়ার।
প্রাণে মিশিয়ে প্রাণ যে নিখাঁদ প্রেম গড়েছিলে সর্ব প্রাণে,
তাতে বিন্দু মাত্র খাদ তো ছিল না,
হে অকুতোভয় বীর;নিঃস্বার্থ প্রেমিক,
তবু ওরা তোমায় বাঁচতে দিল না।
সে রাতের তাঁরারা ছিল শোকে মুহ্যমান,
ঘনঘোর তমসার নিঃশব্দ হাহাকার
শুনেছে বিজন রাত;
গাছগাছালি পাখপাখালি আর দখনে বাতাস সশব্দে তুলেছিল কান্নার রোল,
পিতার সকরুণ মৃত্যু কাছ থেকে দেখা
কঠিন পাথুরে দেওয়াল
করেছিল বিরহ বিলাপ!
তোমার বুকে বুলেট চালানো ওরা,
মানুষ ছিল বটে;মানুষের হৃদয় ছিল না,
হে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি;
হে যুগোত্তীর্ণ মহানায়ক,
ওরা তোমায় বাঁচতে দিল না!
⇔⇔⇔⇔⇔⇔
কবি পরিচিতিঃ
গাজী সাইদুর রহমান, সহঃ শিক্ষক (বাংলা), বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি হাইস্কুল ( ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড) ,বি এমএ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট। কবি, প্রাবন্ধিক,গল্পকার ও সাহিত্য সংগঠক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও পরিচালকঃ বাংলাদেশ নবীন-প্রবীণ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ। জন্মঃ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলাস্থ জয়নগর ইউনিয়নের লক্ষীকান্তপুর গ্রামে ত্রিশ ডিসেম্বর ঊনিশশো আটাত্তর সালে। পিতাঃ আলহাজ্ব মৌলবি আব্দুস ছোবাহান গাজী ( প্রধান শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,প্রয়াত) মাতাঃ গৃহিণী। শিক্ষা জীবনঃ এস এস সি – ১৯৯৩, এইচ এস সি -১৯৯৫, বি এ (সম্মান)- ১৯৯৮, এম এ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – ১৯৯৯ প্রথম প্রকাশিতএকক কাব্য গ্রন্থ
“ফেলে আসা দিনগুলি -২০২০ সালে “, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ যৌথ “রূপসী বাংলার কাব্যগ্রন্থ -২০২১ সালে ”
আরও একটি একেক কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাস প্রকাশের অপেক্ষায়।