বঙ্গবন্ধুকে পেলে

-আরীফুর রহমান

♥♥♥♥♥♥

বঙ্গবন্ধুকে পেলে, বিনম্র শ্রদ্ধা ভরে,
কৌতুহল ছলে, কিছু প্রশ্ন দিতাম জুড়ে।
এতশত বছর আগে, কে শেখালো তাঁকে,
পাঞ্জাবির উপর কোটে,মানাবে বেশ তাঁকে।
ব্যক্তিত্বের এক মহান প্রকাশ, পায় সে পোশাকে,
আজো সে পোশাক ধারণ ,শুধু ভালোবেসে তাঁকে।
নেতৃত্বের এক মহাগুণ, কে শেখালো গো তাঁকে,
যে গুণ আজ বিলুপ্তপ্রায়,খুঁজি জীবনের বাঁকে বাঁকে।
ক্ষমা এক মহৎ গুণ,দেখি তাঁর চরিত্রে,
চিরশত্রুদের মাফ করে দিলেন, বিনা শর্তে।
সাহসিকতা পরম গুণ তাঁর, যাননি কভু দেশ ছেড়ে,
ভয় হয়—
না জানি, শকুন-শেয়ালেরা, দেশের মানচিত্র নেয় কেড়ে।
৭ই মার্চের মহান সে ভাষণ,কে শেখালো, কে শেখালো গো তাঁকে,
এক ভাষণে জাতি জাগলো,নব পতাকা দোল খেলো পূবালোকে।
এ যেন ইংরেজ কবি শেলীর “দ্য স্কাইলার্ক”, কবিতার মতো,
ছোট্ট পাখির গগন বিদারী শব্দে কাঁপছে, পবন-ভুবন যতো।
প্রশ্ন আরতি সবশেষ আমার, কেন এনে দিলে এ স্বাধীনতা?
“বিশ্বমাঝে স্বগৌরবে দাঁড়াক এ দেশ, ভুলে বিবাদ -বিষন্নতা।”
♥♥♥♥♥♥

কবি পরিচিতি-

মুহাম্মদ আরীফুর রহমান ভোলা জেলার বোরহানউদ্দীন থানাধীন দেউলা ইউনিয়নের অন্তর্গত জমির আখন বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।পরবর্তীতে পিতার চাকুরীর সুবাদে (অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক,শাহবাজপুর মহাবিদ্যালয়) লালমোহন চলে আসেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪-০৫ সেশনে ইংরেজিতে অনার্স -মাস্টার্স করেন।বর্তমানে তিনি দেশের শরীয়াহ বেসড শীর্ষস্হানীয় একটি ব্যাংকে চাকুরীরত। পাঁচ ভাই, দু বোনের মধ্যে তার অবস্থান ষষ্ঠ। পাঁচ ভাই সবাই চাকুরীজীবি। তিনি লালমোহন কলেজিয়ট প্রাইমারী স্কুলের প্রথম বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র।স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় “বুশের মাথা গরম হয়েছে ” শিরোনামে কবিতায় আত্মপ্রকাশ, যার জন্য হন প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত।বর্তমানে তার বেশ কয়েকটি যৌথ কাব্য প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যর্থ স্বপ্ন, কাব্যকুঞ্জ, জীবনের স্মৃতিময় কবিতা,তারাদের হাতছানি প্রভৃতি। কয়েকটি যৌথকাব্যের কাজ চলছে। তিনি সকলের দোয়াপ্রার্থী।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*