মেয়েটা জানে না
-চিন্ময় বিশ্বাস
⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒
মেয়েটা জানে না —
কিছু পার্কস্ট্রীটের রাস্তায়
সে যেন হ্যামলিনের বাশীঁওয়ালা,
কিছু বখাটে ছেলের দিনলিপি তাইই বলে,
গাদা গাদা বীজগনিতের গোলকধাঁধায় কপালে ভাঁজ
আর অকাজে ঘুরে বেড়ানো,
ইদানীং কোনো কিছুরই উত্তর মিলছে না,
সান্ত্বনার টিমটিমে আলোর সাথে একাত্মতার প্রয়াস,
নিরাভরণ শরীরের ধস্তাধস্তির হট কালেকশন
আর একদিকে ওই কামোদ্রক তনু দেখে
কেউ কেউ চিৎকার করে ওঠে “ইউরেকা”।
মেয়েটা জানে না বাজারমূল্য,
পরোয়াও করে না,
এখনো যাপনচিত্রে শীঘ্রই রাত নামে,
উদাসী হাওয়ায় নড়ে চড়ে ওঠে দুর্নিবার অন্তর্ঘাত,
যা কেউ দেখেনি, কেউ দেখে না!
দারুন মেক আপে ভারী সুন্দর দেখায়,
সমস্তকিছু উড়ে যায়, যখন অন্ধকারে —
ভালোবাসা হিসেব মেটায় —
তারপর দৃশ্যদূষন।
এই মেয়ে শোনো —
বস্তুত তুমি একটা দামী পারফিউম,
তোমায় কেনার মত মোটা টাকা
আমার কাছে নেই।
***************************************
কবি পরিচিতি :
চিন্ময় বিশ্বাস, পিতা: শ্রী বাবলু বিশ্বাস, মাতা: শ্রীমতি দীপা বিশ্বাস, জন্ম- আলিপুরদুয়ার, পশ্চিমবঙ্গ, লেখালেখির প্রতি আকর্ষন সেই কলেজ জীবন থেকে, এ পর্যন্ত দুটি কাব্যগ্রন্থ “সব লিখে রাখা হবে ” ও “খড়কুটো ” প্রকাশ পেয়েছে এবং সাময়িক কিছু পত্রিকায় বেশ কিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে।