ক্ষুধা

-ভদ্রাবতী বিশ্বাস

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

খাদ্য ছাড়া প্রান বাঁচেনা

খাবার সবাই চায়,

তবু কেন এত বিভেদ

কেউ খায় কেউ নয়।

ক্ষুধার যন্ত্রনা মৃত্যু সম

যে যার মত সয়,

অনেকে সইতে না পেরে

যম দুয়ারে চলে যায়।

বড়ই কঠিন ক্ষুধার জ্বালা

প্রকাশের নেই ভাষা,

এ আগুন জ্বললে পেটে

থাকেনা অন্য আশা।

ক্ষুধার কাছে তুচ্ছ যে সব

লজ্জা,ঘৃনা, ভয়,

ধর্ম রক্ষা ও ক্ষীন হয়

ক্ষুধার যন্ত্রনায়।

হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়

এ জ্বালা বড় তীব্র,

পৃথিবীতে যত দুঃখ কষ্ট

ক্ষুধার কাছে ক্ষুদ্র।

ক্ষুধায় কাতর নিরন্ন মানুষের

চোখে চড়ে খুন,

বাইরে কেহ বুঝতে পারেনা

ভিতরে জ্বলন্ত আগুন।

গদ্যময় পৃথিবীতে কারো কাছে

চাঁদ শান্তির গুটি,

ক্ষুধার্তে চোখে ঐ চাঁদখানা

সুস্বাদু গরম রুটি।

কেন যে এত অদ্ভুত

বিশ্ব সংসার খেলা,

অর্থ উল্লাসে মাতছে কেউ

কারো মরন জ্বালা।

⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবি পরিচিতি-

ভদ্রাবতী বিশ্বাস। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের যশোর জেলার মণিরামপুরের মনোহরপুর আমার জন্ম। পিতা: স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, মাতা: স্বর্গীয় নীলিমা রানী বিশ্বাস। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে বি.এস. সি(সম্মান) এম এস সি(ভৃগোল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করি।চাকুরী জীবনে প্রথমে টাওরা হাই স্কুলে শিক্ষাকতা করি ।কিছুদিন পর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাই।পর পরই কেশবপুর মহিলা কলেজে সুযোগ হয়।বর্তমানে আমি এখানে সহকারি অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছি।পাশাপাশি লেখালেখি করি।কবিতা লেখা আমার খুব পছন্দ

 

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*