শরৎ
-মোঃ জাবের মীর
♦♦♦♦♦♦
বর্ষায় সবকিছু ধুয়ে করে নির্মল,
শরৎ এসে চারদিকে করে ঝলমল।
শুভ্র মেঘে মেঘে ভরে যায় নীলাকাশ,
অহর্নিশ বয়ে চলে মৃদুমন্দ বাতাস।
নদীর তীরে দেখা যায় সাদা সাদা কাশবন,
বাতাসের দোলা লেগে করে শুধু শনশন।
সাদা মেঘের ভেলা যেন যায় অচিনপুর,
কাশফুল ফুটে থাকে দূর হতে বহুদূর।
প্রভাতে ঘাসের বুকে শিশিরের ছোঁয়া লাগে,
রবির কিরণ দেখে ঝাঁকেঝাঁকে পাখি জাগে।
শিউলি তলায় থাকে কতশত ফুল!
নীলিমার নীলে যেন মন হয় আকুল।
শরতের জ্যোৎস্না যে কত অপরূপ!
এতরূপ দেখে কবি থাকে না যে চুপ।
আকাশ হতে যেন জ্যোৎস্নার ফুল ঝরে,
এইরূপ দেখে কবির খুশিতে মন ভরে।
মোহনীয় আলোতে কবি দেয় ডুব,
স্নিগ্ধ আলো মেখে ভালো লাগে খুব।
দিক হতে দিগান্তর সবুজের শোভা,
শরতরাণীর রূপ যেন অতি মনোলোভা।
♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতিঃ- কবি মোঃ জাবের মীর, তিনি ২০০০ সালের ৪ মার্চ, বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চলের বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে ও হযরত খাজা খানজাহান আলী (র) এর স্মৃতি বিজড়িত বাগেরহাট জেলার, নদীমাতৃক শরণখোলা উপজেলার, উত্তর তাফালবাড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ ছোলায়মান মীর,মাতা মোসাঃ হোসনেয়ারা বেগম। তিনি ২০১৯ সালে রায়েন্দা দারুল হেদায়েত নেছারুল উলুম ফাজিল(ডিগ্রি) মাদ্রাসা থেকে অালিম পাশ করে ঐ মাদ্রাসায় ফাযিলে অধ্যায়নরত এবং শরণখোলা সরকারি কলেজে (সমাজবিজ্ঞান) বিভাগ নিয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে অধ্যায়নরত আছেন।
ছোট বেলা থেকেই তিনি সাহিত্যানুরাগী ছিলেন। ইতিমধ্যে তার “পাখিদের গান,শতবর্ষের চেতনায় বঙ্গবন্ধু ও জীবনের হাতছানি” শীর্ষক যৌথকাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি অনলাইনে বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপ থেকে বেশকিছু সম্মাননা অর্জন করেছেন এবং অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে। বর্তমানে তার লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে।