দাদা যখন পাশে নাই
-আবুল হাসমত আলী
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
এতদিন নিউটন, আইনস্টাইন ছিল না,
তাই আমরা আদিম যুগে করছিলাম বিচরন;
বিজ্ঞানীরা আসার পর আমাদের এই পৃথিবী
একেবারে সভ্য জগতে করে পদার্পণ।
আমাদের ধেরে খোকারা, উপযুক্ত দাদার অভাবে,
মুখ ভার করে করছিল বিফল জীবন যাপন;
এখন দারুন একটা ক্ষমতাশালী দাদা জুটেছে,
তাই চৌদ্দ আনা হাসি ফুটেছে, ফুটেছে বচন।
দাদা যখন আছে তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে,
তখন আর কি ভাবনা? তাদের হবে না অকাল মরন;
তাই তাদের বেড়ে গেল লম্ফঝম্প,
যখন-তখন হুংকার ছাড়ে, দেখায় আস্ফালন।
বলবান দাদা তার জন্য সর্বদা সহায় আছে,
অহংকার করতে সদা জোগায় ইন্ধন;
অন্যরা তো হকচকিয়ে যায় এমন দেখে,
বদমাশ দাদার সঙ্গে করেছে জোট বন্ধন।
হিমালয়ের অনেক বরফ গলে হলো জল,
যখন পরাক্রমশালী দাদার হলো পতন;
এমন সময়ে আমাদের ধেরে খোকারা কি করে?
চারিদিকে তো শত্রুরা করছে স্বমূর্তি ধারণ।
বলি, হায় হায় করে লাভ কি হবে এখন?
পুরনো বন্ধুকে অবশ্যই করতে হবে তাদের স্মরণ;
কিন্তু সেও তো গেছে এখন বিগড়ে,
ম্লান বদনে অপেক্ষা, কি করে এখন কার ধরে চরণ!
তা না হলে ধেরে খোকাদের ঘুম গেল,
তার উপর ঘরের লোকদেরও তো ভালো নয় আচরণ;
এখন মহা জ্বালা, এ ভীষণ জ্বালা,
ঘরকে একত্রীকরণ করে করতে হবে শত্রু নিধন।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি: আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।