প্রভুর দান
-দীনবন্ধু দাস
♦♦♦♦♦♦♦♦
গরীব ভোলার বড়ই ইচ্ছা রাজা হবার,
দিনে রাতে স্বপ্ন দেখে অসহায়দের সেবা করার।
বিধবা মায়ের বকুনি আর চোখের জল দেখে,
ভোলা সারাদিন থাকে বসে খালেবিলে গাছের তলে।
হাত পুড়িয়ে যতটুকু মা রান্না করে,
শুধুই ভোলার পেটটি ভরে।
হঠাৎ একদিন ভোলার মাকে মহাব্যাধি স্পর্শ করে,
মাকে বাঁচাতে যায়গো ছুটে সব বাড়ির দুয়ারে ।
চোখের জলে এদিক ওদিক শুধুই ভোলা কর্ম খুঁজে,
ভোলা বড়ই সাদাসিধে খাটে শুধুই বিনামূল্যে ।
মা যে আর পারছেনা কষ্ট সইতে বিনাঔষধে,
কষ্টে ভোলা বলে ওঠে _ থাকবো নাকো আর এদেশে।
এখানে অনেক মানুষ আছে,
কিন্তুু তাদের মনটা বাঁধা অর্থ আর অহংকারে।
তা না হলে এতো কষ্ট পেতে হতো না আমার মাকে,
থাকতাম আমরা মহাসুখে এই ছোট্ট ঘরে।
ওদের মতো থাকতো যদি আমার অনেক টাকা,
এইভাবে কাঁদতো নাগো কোনো মায়ের খোকা ।
পারো তোমরা বলতে আমায়, কে মুছাতে পারে আমার মনের ব্যথা,
গাঁয়ের বুড়ি বলে খোনায়, হলে ওই জগন্নাথের কৃপা ।
বসে প্রভুর চরণতলে অনেক কেঁদে জ্ঞান হারিয়ে,
গভীর রাতে চোখটি খুলে দেখে রক্ষাকবচ তার হাতে ।
ছুটে গিয়ে ভোলা, মায়ের হাতে দেয় বেঁধে,
কবচেরই ফলে সুস্থ হয়ে মা, জড়িয়ে ধরে ভোলাকে ।।।।।
♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি=
কবি দীনবন্ধু দাস পিতা – সনাতন দাস মাতা- উন্নতি দাস, ভারতবর্ষ দেশের, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতাড় থানার বাসিন্দা । শিক্ষাগত যোগ্যতা :- বি.এ ( তৃতীয় বর্ষ) পেশায়:- শিক্ষক ( গৃহ ) আমি আমার ঠাকুরদা শ্রী হারাধন দাস- এর নিকট হইতে সাহিত্য সৃষ্টিতে অনু প্রেরণা লাভ করেছি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাহিত্য চর্চা করেন। যাইহোক, আমি এখন আমার নিজের কথা বলছি – আমি ছোট থেকেই লিখতে ভালোবাসি, তাই আমার মাথায় যা কিছু আসে সেগুলিই খাতার পাতায় লিখি, জানি না সেগুলি ঠিক না ভুল। তবে আমি এখনো পযর্ন্ত সাহিত্যের এক কণামাত্র অর্জন করতে পারিনি, তবে আমি যতটুকু অর্জন করেছি, সেগুলি বিভিন্ন ফেসবুক পেজের পত্রিকায় তা প্রকাশ করেছি। এবং সাহিত্য ছাড়াও আমি বাগান করতে, ছবি আঁকতে, গান করতে ও গান লিখতে এবং পশু পক্ষীদের খাদ্য প্রদান ও পরিচর্যাও করতে ভালোবাসি। আমার লেখা গান গুলি আমার বোনের গলায় তা প্রকাশ পায়।