দিগ্বিজয়ী বীর তুমি
-আবুল হাসমত আলী
⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒
যোগ্যতমের উদ্বর্তন এই ধরাতে, ডারউইনবাদ বলে;
জীবকুলের অনন্ত সৃষ্টিতে, মানুষ এসেছে শেষকালে।
মানুষের অপত্য সৃষ্টিতে, ৪০ কোটি কীটের গমন;
এক সুনির্দিষ্ট পথে, জৈবিক পদ্ধতিতে, করে বিচরণ।
যোগ্যতম এক ও অদ্বিতীয়, ভেদ করে জৈব গোলক;
ধরিত্রী এভাবেই সৃষ্টিকর্তার ইঙ্গিতে, মানবের ধারক।
সেই আদিম কাল হতে, ধরাতে এভাবেই আমরা এসেছি;
যুগে যুগে আমরা মানব জাতির স্রোত অক্ষুন্ন রেখেছি।
কিন্তু যোগ্যতম কীটের হয় প্রবেশ, ডিমের ভিতর;
পরে ডিমকে নিষিক্ত করে, যাত্রা হয় মানবের।
এই ধরাতে এসেও নাই স্বস্তি, থাকতে হয় সর্বদা ব্যস্ত;
সুফল ভোগ করে এখানে, সে যে বেশি কাজে হয় অভ্যস্ত।
না হলে পরাজিত সৈনিকের মতো, হারিয়ে যেতে হয়;
অসীম এক শীতলতার মাঝে, তার অস্তিত্ব লোপ পায়।
৪০ কোটির মধ্যে তুমি, হয়েছিলে বিজয়ী বলে ঘোষিত;
তখন তোমার ছিল না জ্ঞান, ছিল না তোমার মস্তিষ্ক।
তখন তোমার ছিলনা কোন আত্মীয়, ছিলনা সাহায্যকারী;
সেদিনও তুমি টিকে ছিলে, সেদিনও হওনি পশ্চাদগামী।
আজ তুমি উন্নত মস্তিষ্কের অধিকারী, কেন বৃথা চিন্তা?
রয়েছে তোমার সাহায্যকারী, তাহলে কেন হীনমন্যতা?
সীমার মাঝে অসীম তুমি, দিগ্বিজয়ী বীর তুমি;
তোমার আন্তরিক প্রয়াসে এই ধরা হোক পবিত্র ভূমি।
⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒
কবি পরিচিতি:
আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।