শরৎ এলো
-প্রদীপ কুমার মাইতি
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
পুব আকাশে রোদের হাসি,
শিশির ঘাসে ঘাসে।
শীতল বাতাস ঢেউয়ে মাতাল,
সবুজ মাঠে কাশে।
রোদ্র ছায়ার লুকো চুরি,
হাসি খুশী খেলায়।
রূপের রানী শরৎ এলো,
শুভ্র মেঘের ভেলায়।
হিমেল হাওয়ায় সবুজ ডগায়,
দুলছে শিউলি ফুল।
শরৎ শোভা আসলো ফিরে,
করেনি সে ভুল।
শরৎ এলেই রোদের ঝিলিক,
শুভ্র কাশে কাশে।
বলাকারা উড়ে যায় দুরে,
নীল আকাশে ভেসে।
শরৎ এলেই ফসল যত,
ফলে সবুজ ক্ষেতে।
সোনালী ধানের গন্ধে কৃষক,
আনন্দে যায় মেতে।
শরৎ এলেই শিহরণ জাগে,
উথলায় উদাস মনে।
স্বপ্ন গুলো উকি মারে,
বাউল বাতস গানে।
ঋতু চক্রে সোনার মেয়ে,
নামটি শরৎ কাল।
নীল আকাশে ভেলায় ভেসে,
উড়ায় সবুজ পাল।
♦♦♦♦♦♦♦♦♦
কবি পরিচিতি- আমি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খেজুরী থানর গ্রাম কামদেবনগর পোস্ট কলাগেছিয়া এর বাসিন্দা। একটা সময়ে কবিতা লিখতাম। কবিতাকে ভালো বাসতাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। অভাবের তাড়নায় কলেজের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। প্রচণ্ড দারিদ্র্যতার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।আজ জীবন অবসরে অতীত অভ্যাসকে সঙ্গী করে আবার লেখা শুরু করেছি। মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা কষ্ট দুঃখ কান্না ব্যাথা গাঁথা স্মৃতিময় কথা গুলোকে নিজের মত করে লিখি মাত্র।হয়তো আমার লেখাতে কোন গভীরতা নেই,ঝর্নার মতকোন গতিও নেই,নেই কোন ছন্দমিল অন্তমিল। তবুও আজ লিখতে বড় ভালোলাগে। অনলাইন পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি করি।শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি।