থাকবে না আরাধ্য সেই প্রতীক্ষার প্রহর
-পপি প্রামানিক
↔↔↔↔↔↔
বিশ্বাস করো —–
আমি আমার কথা রেখেছি!
আর একটি মুহুর্তও রই না তোমার প্রতীক্ষায়।
তোমাকে ভালো রাখতে, বিরক্ত না করতে কথা দিয়েছি তো!
কি করে তোমাকে দেওয়া কথার খেলাপ করি বলো?
হয়তো তুমি কখনও প্রত্যাশা করোনি আমার প্রতীক্ষার!
কিন্তু আমি দিবানিশি তোমার আশায় প্রতীক্ষার প্রহর গুণেছি, থেকেছি তোমারই পথ পানে চেয়ে ——–
এটাই আমার অপরাধ!
বিশ্বাস করো —–
তোমাকে কষ্ট দিতে নয়, শুধু একটু খোঁজ নিতে ——-
এখন তোমাকে কথা দিয়েছি তো!
তাই আর রই না আমার আরাধ্য সেই প্রতীক্ষায়।
আমি এখন সারাদিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে আমার মনোমন্দিরে একলব্য হয়ে আমার ভালোবাসার আরাধনা করি।
আমার এই সাধনায় বাধা দেওয়ার অধিকার কিন্তু তোমার নেই।
আমার আরাধ্য ভালোবাসা সে তো সদাই চিন্ময়!
সেখানে সাদৃশ্য দেবতাকে আমার চাই না।
এই পূজারিকে তুমি কিভাবে বাধা দেবে বলো?
তুমি যত দূরে যেখানেই থাকো, আমার হৃদ স্পন্দনে সদাই তোমাকে অনুভব করি।
বিশ্বাস করো ——-
আমৃত্যু তুমি থাকবে আমার সাধনায়, আমার ভালোবাসায়,
তুমি সেই প্রথম দিন থেকেই মিশে আছো আমার সত্ত্বায়।
দেখা না হোক, কথা না হোক, খোঁজ তো নিতে পারবো——-
তবে হ্যাঁ, তোমাকে বিরক্ত করে নয়।
খোঁজ নিবো আমার পরম সাধনার পথ হতে, আত্মার ঐকান্তিক শক্তি বলে।
প্রতিটি মুহুর্ত পিপাসিত চাতক হয়ে প্রতীক্ষায় থেকেছি।
হয়তো সেটাই ছিল আমার অপরাধ, আমার ভুল!
তবে জেনে রেখো- দূর থেকে হলেও সদা তোমার শুভ কামনায় একজন ব্যস্ত থাকে ——
যে প্রতিনিয়ত তার স্রষ্টার কাছে তোমার প্রার্থনায়ই রত।
তুমি না চাইলেও সর্বদা তার অনুভবে তোমারই অবস্থান।
কিন্তু তুমি সেটা বোঝনি, বুঝতে চাওনি।
আমার মনের গভীরে লালিত এই ভালোবাসার কখনও মৃত্যু হবে না, মৃত্যু হতে পারে না!
সেটা তুমি নাও বুঝতে পারো!
আমার এই হৃদ মন্দিরে একমাত্র তুমিই ছিলে, তুমিই আছো, আর আমৃত্যু তুমিই থাকবে।
থাকবে না শুধু আমার আরাধ্য সেই প্রতীক্ষার প্রহর!
↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতঃ
পপি প্রামানিক সহকারী শিক্ষক পিতাঃ আশুতোষ প্রামানিক (সদ্যপ্রয়াত) মাতাঃ কানন বালা প্রামানিক স্বামীঃ বিশ্বজিৎ সাহা অবসরে শখের বশে লেখালেখি করি।