বিসর্জন
-প্রদীপ কুমার মাইতি
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
গঙ্গা পদ্মা কিংবা ইচ্ছামতির পাড়
তোমরা কাঁধে নাও বিসর্জনের ভার।
তোমরা হারিয়ে যাও বারে বারে
আলোর রঙিন ছ’টায় রঙিন স্বপ্ন
মেখে উন্মাদনার জীবন অন্ধকারে।
মাটির প্রতিমা তরে বাজেট কোটি
কোটি আরো প্রয়োজন!
লাখো পেন্ডেলের আয়োজন।
যেখানে নেই কোন সম্ভাবনার দুয়ার।
নেই নিরন্ন মানুষের পেটের মধ্যে
জলন্ত সুর্যের মত ক্ষুধা নিবারনে
প্রাপ্ত অধিকার,
আমি চাইনা সেই বিসর্জন।
আমার বিসর্জনে নেই কোন উদয়
অস্ত
প্রবাহমান প্রতিদিন প্রতিনিয়ত।
৭৫ এর স্বাধীন দেশে দুমুঠো ভাতের
ঘ্রাণ পেতে
অন্ধকার গলি পথে
বিক্রয় হয় মা বোনের অমূল্য সম্পদ!
নারীত্বের হয় বিসর্জন।
কারখানার চিমনির ধোঁয়ায় মিসে
থাকে শ্রমিকের গরম নিশ্বাস।
ঝরা ঘামে পিচ্ছল হয়ে যাওয়া
কলের চাকায় জড়িয়ে থাকে বেঁচে
থাকার বিশ্বাস।
ভুখা পেট ঠিকানা খোঁজে
এক থালা ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত!
স্বপ্ন দেখে সহশ্র রাত।
নিশিভোরে বিসর্জনে ডুবে ঘামের
অর্জিত দাম!
একুশ শতকে ডিজিটাল সমাজ।
আজ ও পনপ্রথার যূপকাষ্ঠে বিক্রয়
হয় কনের সিঁথির সিঁদুর।
পরাধীনতার শৃঙ্খলে নিরব
বেদনাবিধুর।
অকালে নিভে কত শহশ্র জীবন!
মানবতার হয় বিসর্জন।
শপথ হোক অবক্ষয়ের ঘটিয়ে
অবসান
শোষণ মুক্ত সমাজের জয়গান।
মানবতা হোক সমাজেরহ আস্তরণ
আছে যত মলিনতা দীর্নতা জীর্ণতার
হোক বিসর্জন।
⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃⊂⊃
কবি পরিচিতি- আমি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত খেজুরী থানর গ্রাম কামদেবনগর পোস্ট কলাগেছিয়া এর বাসিন্দা। একটা সময়ে কবিতা লিখতাম। কবিতাকে ভালো বাসতাম। বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারিনি। অভাবের তাড়নায় কলেজের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। প্রচণ্ড দারিদ্র্যতার মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছি।আজ জীবন অবসরে অতীত অভ্যাসকে সঙ্গী করে আবার লেখা শুরু করেছি। মনের মাঝে লুকিয়ে রাখা কষ্ট দুঃখ কান্না ব্যাথা গাঁথা স্মৃতিময় কথা গুলোকে নিজের মত করে লিখি মাত্র।হয়তো আমার লেখাতে কোন গভীরতা নেই,ঝর্নার মতকোন গতিও নেই,নেই কোন ছন্দমিল অন্তমিল। তবুও আজ লিখতে বড় ভালোলাগে। অনলাইন পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখালেখি করি।শোষনহীন সমাজের স্বপ্ন দেখি।