বাস্তুভিটা

-চিন্ময় বিশ্বাস

⇔⇔⇔⇔⇔⇔

সমাধি ক্ষেত্রের ফসিলের বুক থেকে সংগ্রহ করি এপিটাফ,

আত্মহননের কীট-বীজাণুকে প্রতিদিন দি কানমলে!

মৃত মননকে উজ্জীবিত করতে রক্তে মিশিয়ে নি কবিতার আফিম,

মহাফেজ খানা থেকে সংগ্রহ করি ঐতিহ্যের শিকড়,

বাস্তু শুঁকে বুকে আঁচড় কেটে খুঁজেনি আপন বুনিয়াদ।

আমার কবিতা চোখ মেলে ভুখা মিছিলে; সমবেত জনতার আফিমে,

চোখ মেলে গণতন্ত্রের অন্ধগলির বন্ধ্যা হৃদয়ে আমিত্ব মুছে।

অবশ রাত্রির শূন্যতায় নিজেকে দাঁড় করায় নিজের সামনে।

আমার মৃত সত্তার সমাধির বুকে ফুটে ওঠে এপিটাফ,

ঠিক তখনই নিজের থেকে নিজেকে বের করে আনি কান ধরে।

অন্তরের বাস্তুভিটার ফসিলে লেখা বাকী ইতিহাস,

সিগারেটের ধোঁয়া অদ্ভুত রাত্রি; কলসা দিয়ে গড়িয়ে পড়া পানের পিক

উন্মত্ত পানশালা; নীল বাসনার নেশাতে নয় অবাক বিস্ময়ে

দুচোখের পাতা এক করতে পারিনি, পূর্ণিমার চাঁদের

মতো কে যেন আমার কবিতা গুলিকে শূন্যে ঝুলিয়ে দিয়েছে,

সে প্রতিনিয়ত মৃত অমাবস্যার বুক চিরে একটু একটু করে জ্যোতি বাড়ায়,

সেই স্তিমিত আলোয় ঠিক চিনে নি আপন বাস্তুভিটা।

⇔⇔⇔⇔⇔⇔

কবি পরিচিতিঃ

চিন্ময় বিশ্বাস,পিতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস ,মাতা মিনতী বিশ্বাস,জন্ম ১৯৯১সালের ২৬শে এপ্রিল।আমি কোনো কবি নই শুধু এঁকে চলি জীবনের প্রতিচ্ছবি।যখন চিন্তন গুলি জাবর কাটে স্মৃতির পাতায় অপ্রাপ্তির উপন্যাস লিখি আপন খাতায়।

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*