হোক না বয়স

-সব্যসাচী প্রামাণিক

→→→→→→→

বয়স আমার যতই বাড়ুক,বুড়িয়ে শরীর গেলে-

মনটা রাখছি তরুণ-সজীব,মজার আবেশ ঢেলে !

সময় শেখায় ‘জীবন’ খেলার নিয়ম কানুন বেশ,

অভিজ্ঞতার বাড়ছে বহর,পক্ক হচ্ছে কেশ !

বাড়ছে দেখছি রোগের প্রকোপ ওষুধ পত্র মোর,

কমছে শুধুই আয়ুর সঙ্গে এই শরীরের জোর।

বাড়ছে কমছে দুই পারেতেই সামঞ্জস্য খুব,

দিনের আলোর নিশ্চিত গতি,অন্ধকারেই ডুব !

দেখছো তোমরা বুড়িয়ে গেলাম,মন্দ নয়কো চোখ,

সমাজ দেখছে তুল্য-মূল্যে অভিজ্ঞ এক লোক।

তাইতো বয়স বাড়লে আমার দুঃখ নেইকো মোটে,

এই বয়সের ভারেই দেখছি মান্যতা খুব জোটে ।

গুরুত্ব টা ও চশমার মতো রয় বয়সের সাথে,

পোড় খেয়ে নেয় সম্মান আজো বয়স্কদের হাতে।

যাচ্ছে যেটুক থাকবার নয়,কস্মিনকালে কারো,

পাচ্ছি যেটুক সেইটুকুকেই মান দিই আরো আরো !

প্রেমকে আজও বুকের মাঝেই তপ্ত,নবীন লাগে,

সখির চোখের এক ইশারায় উষ্ণতা ঘোর জাগে !

অনুভব আর ইঙ্গিতে মোর হৃদয় পাগল-পারা,

স্বপ্নে বিভোর নয়ন আজও লুকায় অশ্রু-ধারা !

তাইতো আমার বয়স কালের মজার নেইকো শেষ,

মস্করা তেই করছি আড়াল ঢাকছি দুখের রেশ ।

আবেগ গুলোর নিয়ন্ত্রণের কায়দা এখন জানা,

সব কিছুতেই আনন্দেরই মেলছি নরম ডানা !

→→→→→→→

কবি পরিচিতি: সব্যসাচী প্রামাণিক ১৯৭৯সালের ১৫ই জুলাই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোচারণে,পিতা হরেরাম প্রামাণিক ও মাতা মিনতিদেবীর হত দারিদ্র পরিবারে একমাত্র পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার একটি বোন আছেন।

পেশা: বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত।

প্রথম একক কাব্য গ্রন্থ-“মুক্তির কলমে সব্যসাচী” ০১/০১/২১ প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

Leave a comment.

Your email address will not be published. Required fields are marked*