মন বড় সম্পদ
-আবুল হাসমত আলী
↔↔↔↔↔↔↔
সারাদিনটা ঘরে বসে, মন টেকে না আমার ;
তাইতো আমি ঘুরি বাইরে, মনের সুখে বারবার।
বিকেল হলে বাজারে যাই, মিলি সেথা সবাই ;
চায়ের আড্ডায় গল্প করে, আনন্দেতে কাটাই।
অনেক পরে গল্প শেষে, মাঠের ধারে গেছি ;
সবুজ ঘেরা মাঠের মাঝে, আমি একা আছি।
সেথা নেইকো কোনো বাধা, কেবল চিন্তা করা ;
চিন্তাশক্তির বিস্তার করার, জায়গা নজরকাড়া।
ভাবি জীবন শিল্পকর্ম, ঈশ্বরের তা সৃষ্টি ;
তাইতো জীবন রাত দিন কেবল, খুঁজে বেড়ায় কৃষ্টি।
এই জীবন কি শুধুই কাজের? বিরক্তিকর বলো ?
শান্তি পাবে যদি তোমার, মনের আলো জ্বালো।
দেখবে তখন মনের মধ্যে, কত কিছু আসে ;
সোনার থেকে মূল্যবান তা, তোমার মনে ভাসে।
সেই সম্পদের চর্চা করে, হন অনেকে ধনী ;
কোটিপতি সেথা মানে, পরাজয় ভাই জানি।
সোনার খনি হীরের খনি, অনেক খনি আছে ;
তাদের থেকে সম্পদ বেশি, মনের মধ্যে ভাসে।
সেই সম্পদকে যদি তুমি, আপন করতে পারো;
তাহলে তো বৃথায় তুমি, অপরের ধার ধরো।
রবি-কবি, বিজ্ঞানী, জ্ঞানী, শান্তির ধারক ছিলেন ;
তারা সবাই মহৎ কর্মে, জীবন নিয়োগ করেন।
তাদের জীবন খাঁটি সোনার, চেয়ে দামী ছিল ;
তাদের দ্বারা সোনার সমাজ, এই ধরাতে গড়লো।
↔↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি: আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।