নবান্নের ঢোল বাজে
-পপি প্রামানিক
↔↔↔↔↔↔↔
বৈচিত্রময় ঋতুর চক্রে হেমন্ত যায় দেখা,
ফসল উঠবে চাষির ঘরে ফিরবে ভাগ্য রেখা।
মাঠে মাঠে সোনালী ধান করছে দেখো খেলা,
চাষি ভাইয়ের ধান কাটতে যায় যে বয়ে বেলা।
রঙিন স্বপ্ন নিয়ে চাষি ছুটছে মাঠের পানে,
ধান তুলে সে ভরবে গোলা সুর তোলে যে গানে।
ধানের গন্ধে চাষি ভাইয়ের মুখে ফোটে হাসি,
ইচ্ছে তাহার পূর্ণ হবে তাই তো এতো খুশি।
চাষি বধুর নেই চোখে ঘুম ব্যস্ত সে যে কাজে,
নতুন শাড়ি আনবে সখা সুখ যে হৃদয় মাঝে।
খেজুর গুড় আর চালের গুড়ায় তৈরি হবে পিঠা,
নবান্নের এই আয়োজনে জমবে কুটুম মিতা।
বিন্নী ধানের খই ভাজে আর শালি ধানের চিড়ে,
মোয়া হবে হরেক রকম বাড়ির নতুন গুড়ে।
নতুন চালের পায়েস খেতে মন মেতে যায় ঘ্রাণে,
শীতের বুড়ি পা বাড়ায় যে নবান্নের এই দিনে।
নবান্ন আসে বাংলার বুকে একটি বছর পরে,
পল্লী বধুর গীত শোনা যায় মিষ্টি মধুর সুরে।
হৈমন্তিকার ছোঁয়া পেয়ে আমার বাংলা সাজে,
উৎসব হবে ঘরে ঘরে নবান্নের ঢোল বাজে।
↔↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতঃ
পপি প্রামানিক (সহকারি শিক্ষক), পিতাঃ আশুতোষ প্রামানিক ( সদ্যপ্রয়াত ), মাতাঃ কানন বালা প্রামানিক স্বামীঃ বিশ্বজিৎ সাহা। বাস্তবে আমি কোনো লেখক কিংবা কবি নই। মনের আনন্দে নিজের অবসরটুকু কাটানোর ছলেই এঁকে চলি কিছু কথামালার সমষ্টি।