বাঘ
-আবুল হাসমত আলী
⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒
সুন্দরবনের বাঘের খুব দেখা মেলে,
সেখানে নানান কাজে সুগমন করলে।
ফেরার সম্ভাবনা তো অনিশ্চিত থাকে,
পরিণত হতে পারে বাঘের পেশিতে।
কিন্তু তবুও ভয় করে কি তারা সেখানে?
জীবন ধারণের এই পথে হয় চলতে।
জীবনে চলার রাস্তা এরকম সেথা,
রোজগারের তেমন তো সুখ নেই হেতা।
তাই মানুষের সাথে তাদের বিরোধ ,
বনটা তো পুরো তাদের, আছে অবরোধ।
কিন্তু এই সমাজেও বাঘ দেখা যায়,
সদাই আমরা বাঘ দেখি খুব ভাই।
পুলিশকে দেখে তো লাফ দিয়ে ভাগে,
আসলে ডাকাতরা বাঘ ভাবে যে তাদেরকে।
আয়কর ফাঁকি দেয় যে ভেগে যাবে ভয়ে,
আইকর অফিসার যেই সেথা হানা দেবে।
ঋণের জালে জড়িয়ে দুশ্চিন্তায় যারা,
পাওনাদারদের তো বাঘ রূপে দেখে তারা।
অপহরণকারী কেউকে তুলে টাকা চায়,
অপহৃত ভয়ে তব বাঘ দেখে ভাই।
রোগীর জীবন যদি অনিশ্চিত হয়,
সে যেন তখন বাঘ দেখছে মনে হয়।
কিন্তু বাঘেরা এখন খুব জড়োসড়ো,
খেয়েছে তারা অনেক গলা নেই বড়ো।
⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒⇒
কবি পরিচিতি: আমি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় অবস্থিত ভাতার থানার এরুয়ার গ্রামের বাসিন্দা। আমার জন্ম ১৯৭৪ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি। পিতা শেখ আতর আলী একজন কৃষিজীবী। আমি পেশায় একজন গৃহশিক্ষক। আমি মানবপ্রেমী ও প্রকৃতি প্রেমিক। আমার কাছে ধর্ম মানে মানবিকতা। আমি বই পড়তে ভালবাসি। সেই সঙ্গে একটু আধটু লেখালেখির চর্চা করি। একটা শোষণমুক্ত স্বচ্ছ সমাজের আমি প্রত্যাশী।