ঘুন ধরা সমাজ
-রঞ্জন ঘোষ
↔↔↔↔↔↔↔
আমাদের সমাজটা বহুদিন থেকে কেমন ঘুন ধরে গেছে
কুরে কুরে খাচ্ছে সমাজের মেরুদন্ড যেটা পড়ছে ঝুঁকে,
কোনদিন যে হঠাৎ করে ভেঙে পড়বে কে বলতে পারে,
এসব ভাবলেই এক অজানা আতঙ্ক জেগে ওঠে বুকে।
মানুষের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে আজ বিবেক আর মনুষ্যত্ব
তাই লোভাতুর চোখগুলো লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,
দয়া মায়া মমতার কথা লেখা আছে শুধু বইয়ের পাতায়,
ভুলে যেতে চায় সেই কথা কারণ বিবেক যদি জেগে ওঠে পাছে।
চলো সব লুটেপুটে খাও আর আনন্দে এগিয়ে যাও
অসহায় মানুষের কথা ভাববার নেই কোন দরকার,
ওরা মরে মরুক ওদের কাঁধে ভর দিয়ে চলো এগিয়ে যাই,
কারো সাধ্য নেই করবে আমাদের বিরুদ্ধে কোনরকম প্রতিকার।
পচে গলে গেছে আমাদের সমাজটা দেখেও কেউ তা দেখছেনা
ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে সবাই কেউ কিছু তবু ভাবছিনা,
জানিনা কবে হবে আমাদের সুবুদ্ধির উদয় নিজেদের ধ্বংস রোধের,
আমরা নিজেরাই কেউ সেই কথা একবারও ভেবে দেখছিনা।
কে বাঁচাবে আমাদের এই ঘুন ধরে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থাকে
কে পারবে আমাদের নতুন করে বেঁচে ওঠার স্বপ্ন দেখাতে,
ধরিয়ে দেবে আমাদের সব ভুল আমাদের সব অজ্ঞানতার,
স্বল্প সংখ্যক ভালো মানুষই পারে এই ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে।
↔↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিত–
আমি রঞ্জন ঘোষ, দক্ষিণ কলকাতার বেহালায় থাকি। কবিতাই আমার প্রথম প্রেম। ছোটবেলা থেকেই কবিতার প্রতি আমার টান। কিছু কিছু ছোট গল্প লিখেছি। এ বছরে আমার একক কবিতার বই “প্রেমের ঝর্ণাধারায়” প্রকাশিত হয়েছে যুথিকা প্রকাশনী থেকে। আমার অন্য দুটি কবিতা বই “জীবন তরী” ও “লক ডাউনের ডায়েরি” আনন্দ পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে। আমি অনেকগুলি সাহিত্য পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আছি। শ্রুতি সাহিত্য পত্রিকা ও নতুন কুঁড়ি সাহিত্য পত্রিকার সভাপতি হিসেবে কাজ করছি। এছাড়া চার-পাঁচটি সাহিত্য পরিবারের সাথে এডমিন ও মডারেটর হিসেবে কাজ করছি। আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। জীবনের শেষ কটা দিন সাহিত্য নিয়েই থাকতে চাই আর চাই আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ। ধন্যবাদ।