বিষন্ন দুপুর খোঁজে বিকেলের রোদ
-সত্যজ্যোতি রুদ্র
↔↔↔↔↔↔↔
স্বাতন্ত্র্যহীন-বৈচিত্র্যলেশ
একঘেয়েমি জীবনসংসারের ঘানি
টেনে টেনে অস্থিচর্মসার।
জীবনগোলক ভরদুপুরে ঘুরপাক খেলে
অসম ঘুর্ণিপাকে,বিষন্ন মনে।
প্রেমে পড়ি রোজ রাতে;
স্বপ্নের চোরাগলিতে ভেসে যায়
স্বপ্নভঙ্গের কান্না!ভীষণ বিচলিত হই।
নৈঃশব্দ্যের অন্ধকারে দুঃখের উপনিবেশ,
আবেগের লহরীগুলো
জলতরঙ্গ খেলে আঁখিকোণে।
দিন আসে আর যায়,ঋতু বদলায়
এভাবে যেতে যেতে জীবন বসন্তও
ফুরিয়ে আসে!
তবুও মনে বাঁধে আশার খেলাঘর,
ভবিতব্য দেখায় আল্পনা এঁকে যাই কত!
দিনের শেষে ঝিমিয়ে পড়া ক্লান্ত দেহ
হেলে পড়তে চায় পড়ন্ত বিকেলের বর্ণিল পথরেখায়,
মন বড্ড ব্যাকুল হয়ে ওঠে এক চিলতে সোনালি রোদ্দুর গায়ে মাখতে,
একটু নিঃশ্বাস ফেলতে—-
আগামী দুপুরের বিষণ্ণতা কাটিয়ে
জীবন যুদ্ধের লাগাম ধরতে—
তনু-মন ঝালিয়ে নিতে।
↔↔↔↔↔↔↔
কবি পরিচিতি–
কবি সত্যজ্যোতি রুদ্র, পেশা– শিক্ষকতা, কণ্ঠ শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন,চট্টগ্রাম।
জেলা– কক্সবাজার।